রাজ্যের কর্মচারীদের 'এডহক' ভিত্তিতে এককালীন প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় বৈঠকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারীদের পদোন্নতিতে সংরক্ষণ নিয়ে মামলা চলার কারণে রাজ্যের কর্মচারীদের প্রমোশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে সমস্যা হচ্ছিল। সরকারের কাজকর্মে আরো গতি আনার লক্ষ্যে এবং রাজ্যের তপশিলি জাতি, তপশিলী উপজাতি ও সাধারণ ক্যাটাগরির সমস্ত কর্মচারীদের স্বার্থে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, কর্মচারীরা হলো রাজ্য প্রশাসনের সৈনিক। রাজ্যের কর্মচারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছাড়া এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা কখনও গড়া যাবে না। দেখা গেছে প্রমোশন না পেয়ে অনেক কর্মচারী অবসরে যাচ্ছিলেন। আগামী দিনে সুপ্রিমকোর্টের রায় কি হবে তাও অনিশ্চিত। এমন অবস্থায় রাজ্যে কর্মচারীদের সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের সাপেক্ষে এককালীন এডহক প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের সিনিয়রিটি লিস্ট অনুযায়ী বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে এই প্রমোশন দেওয়া হবে। শর্ত অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত এই প্রমোশন হবে সম্পূর্ণ এডহক ভিত্তিতে। যদি দেখা যায় কোন কর্মচারী দুই-তিনটি পদে প্রমোশন আটকে ছিল সেক্ষেত্রে তাকে একটি প্রমোশন দেওয়া হবে। যদি দেখা যায় প্রমোশন দিতে গিয়ে এস সি,এস টি এবং ইউ আর কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে তখন দপ্তর সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে তাকে প্রমোশন দিতে পারবে। এডহক প্রমোশনের মাধ্যমে নিয়োগকে নিয়মিত প্রমোশন নিয়োগ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষামন্ত্রী জানান, অর্থ সহ বিভিন্ন দপ্তরের পরামর্শ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য মুখ্যসচিব কুমার অলক আজই বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের নিয়ে সভা করেছেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২২শে জুন ২০২১