অন্তরে মোর শ্রদ্ধা নেই।
প্রতিবাদে হই না মুখর তাই ভেবো না
সকল কথাই মেনে নেই ...... "
- মৃণালকান্তি কর
মৃণালকান্তি কর। উত্তরপূর্ব ভারতের সাংবাদিকতার ইতিহাসে যার অবদানকে পাথেয় করে বহু কলম তার সত্যি অস্তিত্বে আজও মাথা উঁচু করে চলছে তারই অন্যতম এক দিশারী বহুজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব মৃণালকান্তি কর।শুধুমাত্র সাংবাদিকতা অথবা সংবাদপত্রের মধ্যেই তাঁর বিচরণ ছিলোনা।একাধারে ক্ষুরধার সাংবাদিকতা পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও দাপিয়ে বেড়ানো এই প্রতিভাধর মানুষটির অবাধ বিচরণ ছিলো ত্রিপুরা রাজ্যের সাহিত্য অঙ্গনে।তার রচিত ব্যতিক্রমী কবিতা এবং প্রবন্ধের নির্যাসে আজও সিক্ত সাহিত্যপ্রেমীরা । নিজের সাপ্তাহিক পত্রিকা " সীমান্ত প্রকাশ "এ তাঁর দক্ষ কলমে রচিত নানা সম্পাদকীয় আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এছাড়াও নানা মুখপত্র এবং ম্যাগাজিনে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী তথা বরেণ্য সাংবাদিক ও কবি মৃণালকান্তি কর তাঁর দক্ষতার প্রমাণ রেখে গেছেন।এই প্রামান্য দলিল তাঁকে শুধুমাত্র ত্রিপুরা রাজ্যেই সসম্মানের অধিকারী করে রাখেনি।দেশ-বিদেশেও তাঁর খ্যাতির যশ ছড়িয়ে পড়েছিলো।আদর্শবাদী ও স্পষ্টবক্তা এই আধ্যাত্মিক মানুষটির সৎ চরিত্র এবং গুরুর প্রতি অনন্য নিষ্ঠা তাঁর জীবনের মূল্যবান অলঙ্কার। তাঁর প্রতিটি লেখায় ছিলো মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজ সংস্কারের অনন্য চেতনার প্রতিচ্ছবি।তিনি মানুষকে মানুষজ্ঞানেই বিচার করতেন। এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় তাঁরই অনবদ্য এক প্রবন্ধে লিখিত সেই যুক্তিপূর্ণ লাইনটি।যেখানে তাঁর শক্তিমান কলম বলেছিলো " মানুষের মতো মানুষ হলেই ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে।তখন স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টি হয়ে যাবে ঐশী গুণসম্পন্ন এক জগত। তাহলেই সব হিংসা,দ্বেষ সব হানাহানি সব অশান্তি সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে।"
এক শক্তিধর কলমের রূপকার শ্রদ্ধেয় মৃণালকান্তি কর এর এই চেতনাকে আরশিকথা নতমস্তকে সম্মান জানায়। ১৬ই জুন আমাদের অন্যতম এই পথপ্রদর্শকের ৮৬তম জন্মদিন। এই শুভদিনকে উপলক্ষ্য করে তাঁর কাছে শুধু এইটুকুই প্রার্থনা থাকুক আমাদের কলম যেন তাঁর আশ্রয়ে নিজ অস্তিত্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।
"... আসলে চোখের দেখাই দেখেছ,
দেখার চোখে কিছুই দেখনি ।"
প্রধান সম্পাদকের কলমে
তথ্যসুত্রঃ অমৃত বিন্দু
(মৃণালকান্তি কর এর নিরবাচিত লেখা ও স্বজন-সৃজনের স্মরণে মহুয়া কর সম্পাদিত পুস্তক)
১৫ই জুন ২০২১
আদর্শবাদী, স্পষ্টবক্তা, সাংবাদিক, কবি মৃণাল কান্তি কর আমার ত্রিপুরার এক গৌরব। উনার ৮৬ তম জন্মদিনে জানাই আমার বিনম্র প্রণাম। শ্রদ্ধার্ঘ্যে উনার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি। উনার দুই কৃতী সন্তান মৌসুমী কর এবং মহুয়া কর --- দু'জনের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। মহুয়া কর --এর লেখা "আমার চোখে বাবা" -- যেন আবেগ প্রবণ অনুভূতিতে, ছোট্ট পরিসরে বরণ্য পিতা তথা রাজ্যের এই কৃতী সন্তানের প্রতি রাজ্যবাসির হয়ে এক আলেখ্য। সুন্দর সৃজন। ক্ষুদ্র পরিসরে উনার জীবনের রূপরেখা নির্মাণ। ভালো লাগলো। উনার জন্মদিনে "আরশি কথা"-র শ্রদ্ধাঞ্জাপন উপস্থাপনা "আদর্শবাদী ও স্পষ্টবক্তা এক মানুষ মৃণাল কান্তি কর" এক অনন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন। আরশি কথা -র এই উদ্যোগকে স্বাগত।
উত্তরমুছুন