Type Here to Get Search Results !

আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য সব বিধায়করা এসেছেন : বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


ভারতীয় জনতা পার্টি একটি বৃহৎ পরিবার। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। তাই আলোচনার মাধ্যমে কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য সমস্ত বিধায়করা এসেছে। সংগঠনকে মজবুত করতে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দু'দিনের রাজ্য সফরের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথাগুলি বলেন দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে তিনি বলেন, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংগঠন মহামন্ত্রী অজয় জাম্বোয়াল ও ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ফণীন্দ্রনাথ শর্মা তাদের সফরকালে সংগঠনকে কিভাবে সর্বোচ্চ মাত্রায় শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে প্রত্যেক বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ ও অফিস বেয়ারারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কোথাও যেন কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি না থাকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের মার্গদর্শন ও পরামর্শে দল আরো শক্তিশালী হবে। যে সমস্ত সিনিয়র লিডাররা মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন তাদের প্রতি সুব্রতবাবু দলের তরফে বার্তা দেন তারা যেন পার্টি অফিসে আসেন, আলোচনা করেন। যত বেশি বার্তালাপ হবে ততই সমস্যার সমাধান হবে তিনি বলেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সংস্কারপন্থী বলে দলের মধ্যে কেউ নেই, সবাই বিজেপি করেন। তাই আলোচনার সময় সবাই এসেছেন, খোলামেলা কথা হয়েছে। তৃণমূল সম্পর্কে তিনি বলেন, তৃণমূল এর আগেও কয়েকবার ত্রিপুরায় এসেছিল। এই রাজ্যের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন। বহি: রাজ্যের কোনো আঞ্চলিক দলকে ত্রিপুরার মানুষ গ্রহণ করেনি। এনসিপি, আরজেডি,এলজেপি অনেক দলই ত্রিপুরায় এসেছিল। কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কোনো কোনো বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, এমন খবর দলের কাছে নেই বলে তিনি জানান। পৃষ্ঠা প্রমুখদের সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার পৃষ্ঠা প্রমুখ রয়েছেন। সবার সঙ্গে রাজ্য কার্যালয় থেকে যোগাযোগ রাখা একটি কঠিন কাজ। তবে তাদের কোন সমস্যা, অসুবিধার খবর আসলে অবশ্যই তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সুব্রত বাবু বলেন, শীঘ্রই রাজ্যস্তরে এক প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হবে। তাতে অংশ নেবেন সাংসদ, বিধায়ক, স্টেট অফিস বেয়ারার, মোর্চার নেতৃত্ব, জেলা প্রভারি, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্যসফর প্রসঙ্গে বলেন, এটি তাদের রুটিন সফর। সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রতি রাজ্যেই যাবেন।  এবার আসতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত বিএম সন্তোষসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা বৃহস্পতিবারই রাজ্য ত্যাগ করেন। এদিন তারা উদয়পুর ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির যান। সূর্যমনিনগরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এদিনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের কোর কমিটির সঙ্গে এবং দলের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৭ই জুন ২০২১
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.