থানা চত্বরের মধ্যে থেকেই চুরি। তাও আবার একটু-আধটু নয়, নগদ ৩ লক্ষ টাকা। তবে কোনও দাগি আসামী নয়। চোর নেহাতই মামুলি এবং লেজবিশিষ্ট। না, হেঁয়ালি নয়, এই চোরের সত্যিই লেজ আছে। আসলে অভিযুক্ত এক বাঁদর।উত্তরপ্রদেশের হারদোয়াই জেলার ঘটনা। সেখানকার থানায় কাজে এক যুবক আসেন। তাঁর গাড়ির ডিকিতেই একটি ব্যাগে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ছিল। ব্যবসার কাজের জন্য তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথে থানায় আসেন। থানার সামনেই বাইক রাখেন। থানার মধ্যে থেকে কি আর চুরি হবে! এই ভেবে টাকাটা ডিকিতে রেখেই তিনি ভিতরে যান। ডিকি চাপা দেওয়া থাকলেও লক করা ছিল না। কিন্তু এই চোর যে আইনের ঊর্ধ্বে। সুযোগ পেতেই গাছ থেকে নেমে আসেন তিনি। আর খুলে ফেলেন বাইকের ডিকি। তবে তার নজর আসলে টাকার দিকে নয়। আসলে এমন ব্যাগের মধ্যেই অনেকসময়ে খাবার থাকে। সেদিকেই নজর ছিল তার। বিষয়টি চোখে পড়ে থানার বাইরে পাহারারত দুই হোমগার্ড বিকাশ এবং অখিলেন্দ্রর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা লাঠি নিয়ে গাছের তলায় পৌঁছন। কিন্তু বাঁদর তো গাছের উপরে। নাগালে আসবে কী করে! গাছের তলা থেকে কাকুতি-মিনতি শুরু করেন তাঁরা। অনেক চেষ্টার পর রণে ভঙ্গ দেয় বাঁদরটি। ব্যাগ গাছের ডালে টাঙিয়ে রেখেই পালায় সে। সেটিকে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। এরপর থানায় আসা সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষমেশ প্রমাণ দেখানোর পর টাকার মালিকের হাতে ব্যাগটি তুলে দেওয়া হয়। চুরির সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতার জন্য পুলিশকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন টাকার মালিক।
আরশিকথা দেশ=বিদেশ সংবাদ
১৯শে আগস্ট ২০২১