তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে জবাব দিল প্রদেশ বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে কি চলছে তার তথ্য তুলে ধরলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কথা বলে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে ? ওখানে নির্বাচনের পর ৪০ জন বিজেপির কার্যকর্তা খুন হয়েছেন।৫৪ জন মা বোনকে হয় ধর্ষণ,না হয় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৩০১০ জন কার্যকর্তা আক্রান্ত হয়েছে। এক লক্ষের উপর মানুষ রাজ্যের বাইরে, ঘরে ফিরতে পারছে না। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বহুবার আক্রান্ত হয়েছেন। শেষ মুহূর্তে অমিত শাহ'র প্রোগ্রামের অনুমোদন দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
শ্রী চক্রবর্তী আরো বলেন, সিপিএম তাদের দীর্ঘ শাসনে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এখন ত্রিপুরা যখন আলোর দিকে ধাবিত হচ্ছে তখন ওরা এসে বলছে ত্রিপুরার উন্নয়ন হয়নি। গণতন্ত্র নেই। আগে কোথায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ? ওদের নেতাদের এতটাই বক্সিং টেন্ডেন্সি যে ওদের সঙ্গে এই রাজ্যের নেতারা কথাই বলতে পারতেন না। তিনি নিজে একসময় তৃণমূল করতেন বলে ভালই জানেন। এমনটাই বলেছেন শ্রী চক্রবর্তী। টিএমসি হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মর্যাদা পেতে অর্থাৎ ছয় শতাংশ ভোটের জন্য এরা ত্রিপুরায় এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ত্রিপুরার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। সাব্রুমে মৈত্রী সেতু, সোনামুড়ায় নৌবন্দর, স্মার্ট সিটি, আরো কত কি। তিনি দাবি করেন মানুষের মাথাপিছু আয় এখন বেড়েছে। এই রাজ্যকে ঋণের জাল থেকে তুলে এনেছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মত ডিগ্রিধারী না হলেও বাস্তববাদী বলে দাবি করেন বিজেপির এই বিধায়ক।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৩রা আগস্ট ২০২১