রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না উচ্চ আদালত। তাই খারিজ হয়ে গেল ২২ সেপ্টেম্বর মিছিল করতে চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মামলা। অর্থাৎ বুধবার রাজধানী আগরতলায় মিছিল করতে পারছে না তৃণমূল। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন দুর্গাপূজা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে ভীড় এড়াতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস পদযাত্রা করতে পারবেন না। মঙ্গলবার মামলাটি উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধের বেঞ্চে উঠলে এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধান্ত শংকর দেব আদালতকে একথা জানান। আদালত তখন সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আর এর মধ্য দিয়েই তৃণমূলের করা মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। অর্থাৎ আইন অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস বুধবার আগরতলায় মিছিল করতে পারছে না। এ প্রসঙ্গে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বর্তমানে বিজেপি সরকারের আমলে শাসকদল সমস্ত স্বশাসিত সংস্থাকে গেরুয়াকরণ করে নিয়েছে। তৃণমূল যে বিজেপিকে কতটা ভয় পেয়েছে তা মঙ্গলবারের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো। তবে তৃণমূলকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না। ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে ব্যাপক উচ্ছাস রয়েছে। দল ত্রিপুরাবাসীর পাশে রয়েছে। প্রসঙ্গত গত ১৪ সেপ্টেম্বর তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনের কাছে ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় পদযাত্রা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রশাসন থেকে কিছু না জানানোর কারণে দল উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, তখন পর্যন্ত তাদের কাছে আদালতের রায়ের কপি এসে পৌঁছায়নি। আইনের প্রতি এবং আদালতের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল। তবে বুধবারের কর্মসূচি কী হবে তা দলের উচ্চ নেতৃত্ব জানাবেন।এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুস্মিতা দেব এবং স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। এদিন ১২ পরিবারের ৬৬ জন ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কৃষ্ণধন দেবনাথ (প্রাক্তন আমলা), রাধা রঞ্জন চৌধুরী (সমাজসেবী)। দলীয় নেতৃত্বরা নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২১শে সেপ্টেম্বর ২০২১