রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও রাজ্যবাসীকে উদ্বিঘ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা রাধা দেববর্মা।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৫৫ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণের কিট, প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।সাংবাদিক সম্মেলনে স্টেট নোডাল অফিসার ডা. দীপ দেববর্মা জানান, এবছর ১০ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত ২৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশই রাবার বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি জানান, বর্তমান নভেম্বর মাসেই ১০ তারিখ পর্যন্ত পাঁচটি জেলায় ১৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে গোমতী জেলায় ৭৬ জন, সিপাহীজলা জেলায় ২৭ জন, সিপাহীজলা এবং উত্তর জেলায় ১ জন করে, ঊনকোটি জেলায় ৫৬ জন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু সনাক্তকরণে কিট ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই দ্রুত রোগ সনাক্ত হচ্ছে। এই কিট এই বছরই প্রথম বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি জানান, ডেঙ্গিবাহিত এডিস মশা দিনে কামড়ায়। তাই মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফগ মেশিন দিয়ে ফগিং করা হয়েছে। জনগণকে বলা হয়েছে কাজের সময় ফুল প্যান্ট, ফুল শার্ট পড়ে কাজ করতে। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য শিবির করা হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তিনি জানান, জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে ডেঙ্গির লক্ষণ থাকলেই তারা যেন রক্ত পরীক্ষা করান। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. তপন মজুমদার জানান, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হবে। তাই জ্বর হলেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসায় ডেঙ্গু ভাল হয়ে যায়। উদ্বিঘ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করাই প্রধান কাজ। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শ্যামল রায়ও এ বিষয়ে আলোচনা করেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১০ই নভেম্বর ২০২১