সোমবার রাতে বড়জলায় বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে ভষ্মীভূত হয় ১৪টি দোকান। মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে রাজনৈতিক নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার প্রত্যেকেই গেছেন। যদিও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের সাহায্য প্রদানের আশ্বাস কেউই দিতে পারেননি।
বিরোধী দলনেতা বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় একটি বিশেষ তহবিল থাকে। পুর নিগমের পক্ষ থেকে যদি ক্ষতিগ্রস্তদের নামধাম দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয় রাজ্য সরকার অবশ্যই সেই ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজনে তার কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা পাঠানো হলে তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই তহবিল থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন। সিপিএম পার্টি থেকে কোনরকম সাহায্য করা হবে কিনা জানতে চাইলে মানিকবাবু বলেন, দলীয় ভাবে তারা বিষয়টি আলোচনা করবেন।এদিকে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এদিন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমার আবেদন থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। প্রশাসন যেন দ্রুত সহায়তায় এগিয়ে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হতাশ না হয়ে সরকারের প্রতি আশা রাখার আহ্বান জানান। বিধায়ক শ্রী রায় বর্মন ব্যবসায়ীদের ভেঙ্গে না পড়ার পরামর্শ দেন।আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান, ১৪ টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি দোকান ছিল নিজেদের জায়গায়। আর নয়টি দোকান ছিল খাস জায়গায়। পুর নি গম চাইছে পাকা কনস্ট্রাকশন করে পুনরায় যেন তাদের ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া যায়। কারণ কাঁচা দোকান তুললে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনার ভয় থাকবে। তাছাড়া এই দোকানগুলো ফায়ার ইনসিওরেন্স নেই। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব সরকার যেন তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। রোজগারের একমাত্র উৎস পুড়ে যাওয়া সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২