Type Here to Get Search Results !

যাদের ঘর পাওয়ার সুযোগ ছিল না তাদের রেকর্ড সংখ্যক ঘরের বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার : উপমুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রত্যেক গৃহহীন ও গরীব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাকা ঘর বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টিনের চালের ঘরে বসবাসকারী গরীব পরিবারগুলি যাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে ঘর পাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না তাদের জন্য অভিনব পদক্ষেপ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক ঘরের বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক শঙ্কর রায়ের আনীত একটি জনস্বার্থ সম্বলিত বিষয়ের উপর আলোচনাকালে এতথ্য জানান উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। রেফারেন্স পিরিয়ডের বিষয় ছিল- 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) এনেক্সার-সি এবং ডি-তে যে সমস্ত পরিবারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয় নাই তাদের জন্য সরকারের তরফে কোন সুযোগ রয়েছে কি, বা থাকবে কিনা? এবিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা আরও জানান, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে এনেক্সার-সি থেকে ৫৩.৮২৭টি ঘরের অনুমোদন পেয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরের নির্মাণ ২০১৮ সালের পর সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের কাঁচা ঘরের সংজ্ঞা পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় রাজ্য সরকার। সে মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের অনুরোধ স্বীকার করে এবং এই অর্থবছরেই রাজ্যে টিনের চাল বিশিষ্ট ঘরে বসবাসকারী ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৯০টি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে পাকা ঘর প্রদানের জন্য চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১২৩টি পরিবারকে ইতিমধ্যে ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে এবং বাকি যোগ্য সুবিধাভোগীদেরও অতি সহসাই ঘর বরাদ্দ করা হবে।

উপমুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ২০১১ সালে ত্রুটিপূর্ণ সোসিও ইকোনমিক কাস্ট সেন্সাসের দরুণ অনেক যোগ্য পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ২০১৮ সালে এনেক্সার-ডি আবাস। তালিকা তৈরি করে রাজ্য সরকার। এনেক্সার-ডি আবাস+ তালিকায় প্রায় ২.৭৩ লক্ষ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে ঘর প্রদানের জন্য প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। খুব শীঘ্রই এই তালিকার যোগ্য সুবিধাভোগীদেরও ঘর বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

২৩শে মার্চ ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.