Type Here to Get Search Results !

রাজ্যের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরের কাজ চলছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে সরকার নিরন্তর প্রয়াস জারি রেখেছে। রাজ্যের অভ্যন্তরেই সমস্ত ধরনের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগুলির উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরের কাজ চলছে।


শনিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার চতুর্থ বর্ষপূর্তি এবং আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি বৃহৎ স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। এই প্রকল্পে যোগ্য সুবিধাভোগী পরিবারকে চিকিৎসার জন্য বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস সহায়তা প্রদান করা হয়, যা আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে এসেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ভালো পরিষেবার জন্য চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের উপর রোগী ও তার পরিজনদের আস্থা রাখতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে তাদের চিকিৎসা পরিষেবার উপর। পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগী ও তার পরিজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজটিকে রিমস বা নিগ্রিমসের মতো করে মানোন্নয়ন করা, এইমস হাসপাতাল গড়া, ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশোর অভিযান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আইজিএম এবং এজিএমসি হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, যা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ। মহিলা ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচিগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।


অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটিস্থিত রিজিওনাল রিসোর্স সেন্টারের অধিকর্তা ডা. অশোক রায়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশিস বসু, রাজ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমিতির সদস্য সচিব ডা. কমল রিয়াং।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

১৫ই অক্টোবর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.