শারদীয়া দুর্গোৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য রাজ্য সরকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিল। ফলে এবছর কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি পূজা উদ্যোক্তা বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থাগুলিও সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পূজার আয়োজন করেছে।
শুক্রবার অরুন্ধতীনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে আগরতলা পুরনিগমের ৩৯ নং ওয়ার্ড আয়োজিত শহর দক্ষিণাঞ্চল ভিত্তিক প্রথম শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার আয়োজিত এবছরের মায়ের গমন অনুষ্ঠান ঐতিহাসিক রূপ পেয়েছে। এই ধরনের কার্নিভাল রাজ্যে আগে কখনও আয়োজিত হয়নি। আগামী বছর দুর্গাপূজা কার্নিভাল দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার মানুষের কথা বলা ও সুন্দরভাবে চলাফেরার অধিকার সুরক্ষিত রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কল্যাণেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড অতিমারীর সময় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। রাজ্যের জনগণকে পাশে রেখেই প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে রাজ্য সরকার কোভিড অতিমারী দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেছে। কোভিড টিকাকরণেও ত্রিপুরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় প্রশংসনীয় স্থান অর্জন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা পুরনিগমের ৩৯ নং ওয়ার্ড এবছর শারদ সম্মাননা প্রদানের যে আয়োজন করেছে তা নিয়ে আগামীদিনে এই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ক্লাবগুলির মধ্যে নিশ্চয়ই সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, এবারের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সুন্দর ব্যবস্থাপনার ফলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। সরকারিভাবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং আগরতলা পুরনিগমের শারদ সম্মেলনের আয়োজনের ফলে এবারের দুর্গাপূজা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। সরকারি ব্যবস্থাপনাকে সুন্দর ও সুষ্ঠুরূপ দেওয়ার জন্য ক্লাবগুলিও অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে। শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ স্মরণিকা, সুশৃঙ্খল পূজার আয়োজন, শ্রেষ্ঠ পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচার, বাৎসরিক সামাজিক কাজের অঙ্গীকার, স্বল্প বাজেটে শ্রেষ্ঠ পূজা, শ্রেষ্ঠ মন্ডপ সজ্জা, শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা ইত্যাদি বিষয়ে শহর দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রাপক ক্লাবগুলির কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কারগুলি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সহ অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, ৩৯ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর অলক রায়, আগরতলা পুরনিগমের দক্ষিণ জোনের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার রাজীব দেববর্মা প্রমুখ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৪ই অক্টোবর ২০২২