প্রান্তিক জনপদের অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ স্তরে সুশাসন শিবির এবং বিকাশ মেলার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে বিভিন্ন সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে এই অভিযান মিশন মুডে রূপায়িত হচ্ছে। রবিবার ধলাই জেলাশাসক কার্যালয়ে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের অগ্রগতি নিয়ে এক পর্যালোচনায় সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বিকাশ মেলা ও সুশাসন শিবিরের মাধ্যমে আরও বেশি করে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী যেসব পঞ্চায়েত ও ভিলেজে প্রথম পর্যায়ে বিকাশ মেলা হয়েছে সেখানে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকাশ মেলা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, আমবাসা পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন মমতা দাস, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলাশাসক মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিওরা, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের বিভিন্ন কর্মসূচির পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়েছে, ধলাই জেলায় বিকাশ মেলার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬,৭৬১ জনকে আধার কার্ড, ৩,৩১৪ জনকে পিআরটিসি, ৪, ৮৬২ জনকে ইনকাম সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৪,৫৫৩ জনকে পাকা আবাস নির্মাণের মঞ্জুরি, জল জীবন মিশনে ৪,৮২৩টি বাড়িতে পানীয়জলের সংযোগ, ২,৪১০ জনকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড দেওয়া হয়েছে। জেলায় পিএম কিষাণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ৩,৯৯৮ জন কৃষককে। তাছাড়াও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে ৮৪৭ জনকে। মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ যোজনায় জমি দেওয়া হয়েছে ৮৯ জন চা শ্রমিককে। অটল পেনশন যোজনার সুবিধা দেওয়া হয়েছে ৯২৮ জনকে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৩০শে অক্টোবর ২০২২