কুমারঘাট এবং কল্যাণপুরে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তাকে ঘিরে রাজনীতি খেলায় মেতেছে বিরোধীরা। এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে রাজনীতির তীব্র বিরোধিতা করছে শাসক দল বিজেপি। এধরনের রাজনীতি থেকে বিরোধীদের সরে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে শাসকদলের তরফে। শনিবার ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি কার্যালয় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, বিজেপি নেত্রী এবং রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতন কল্যাণী রায়, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা।
ধর্ষণের মত একটি মর্মান্তিক এবং জঘন্য ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা বলে অভিযোগ করেন পাপিয়া দত্ত। তিনি আরো বলেন রাজনীতির জন্য এমন ঘটনাকে বেছে নেওয়া উচিত নয়।সাংবাদিক সম্মেলনে নেত্রী কল্যাণী রায় বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এই পরিস্থিতিতে কল্যাণপুর এবং কুমারঘাটের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিস্থিতিতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন কল্যাণী রায়। আইপিসিতে যতগুলি ধারা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম হচ্ছে ৩৭৬, ভারতের কোন সরকার চায় না তার রাজ্যে কোন মেয়ে নারী ধর্ষিত হোক। তাই আইন রয়েছে ধর্ষকদের উচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা। এই ঘটনাগুলো প্রেক্ষিতে সরকারও এই আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একটা সময় ছিল যখন রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনার বিচার গ্রামে খাপ পঞ্চায়েতের মাধ্যমে করা হতো এবং টাকার বিনিময়ে মিটিয়ে দেওয়া হতো, কিন্তু এখন নির্যাতিত হলে মহিলারা থানায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দেখে তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা এই ধরনের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৯শে অক্টোবর ২০২২