ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বর্তমান রাজ্য সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নারকো কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের রাজ্যভিত্তিক সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। রাজ্য সরকারও সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। নেশা মুক্ত ত্রিপুরার গড়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নাকা এলাকাগুলিতে স্ক্যানারের প্রয়োজনীয়তা সহ ডগ স্কোয়াডের ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং এদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। নেশা কারবারের সাথে যুক্ত হয়ে যারা বিভিন্নভাবে বিশাল অর্থ ও সম্পত্তি গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, নেশামুক্ত ত্রিপুরা অভিযানে ত্রিপুরার পারফরমেন্স সন্তোষজনক। তিনি বলেন, মাদকের ক্ষেত্রে কোন ধরণের আপোষ করা হবে না। এক্ষেত্রে তিনি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সহযোগিতা চেয়েছেন। আলোচনাকালে তিনি রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স লেবেরোটরির উল্লেখযোগ্য কাজের কথাও উল্লেখ করেন। সভায় কলকাতাস্থিত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পূর্বাঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মনিকা আশিস বাত্রা বলেন, রাজ্যে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল অফিস খোলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্মতি দিয়েছেন। শীঘ্রই এই জোনাল অফিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া এদিনের সভায় রাজ্য পুলিশের পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন মাদক বিরোধী অভিযানে আরক্ষা প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। সভায় রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব, সচিবগণ, সহ গুয়াহাটিস্থিত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সুধাংশু কুমার সিংহ আলোচনায় অংশ নেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১০ই নভেম্বর ২০২২