Type Here to Get Search Results !

আনন্দনগরে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরণীর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


কোনও রাজ্য বা দেশের প্রকৃত উন্নয়নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে সারা দেশেই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। রাজ্যেও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৬টি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া আরও ৪টি জাতীয় সড়কের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম আনন্দনগরে সকল ঋতুতে চলাচলযোগ্য পেভার ব্লক রাস্তার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। পেভার ব্লক দিয়ে নির্মিত এই রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরণী।

এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে পশ্চিম আনন্দনগরের ৫৫৩ পরিবারের ২,২৩৩ জন মানুষ উপকৃত হবেন। উদ্বোধকের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ ও সরকা প্রয়াসের মূলমন্ত্রকে পাথেয় করেই রাজ্য সরকার যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণেই ব্যয় করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। রাজ্যের বিগত দিনের সরকার শ্রমজীবি ও গরিব মেহনতী মানুষের জন্য শুধু কুম্ভীরাশ্রুই করে গেছে, তাদের প্রকৃত উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ে রাজ্যের চারিদিকেই শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। অথচ বিরোধীরা তা দেখতে পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শান্তি ছাড়া কখনও রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজ্যের জনগণও চায় রাজ্যে শান্তি বজায় থাকুক। কিন্তু কোনও কোনও মহল থেকে সরকারকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে শান্তি বিঘ্ন করার প্রচেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য সরকার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়ে তা মোকাবিলা করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনগণকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের ফলেই বহির্রাজ্যে রেফার করা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ক্ষেত্রে রাজ্যকে দেশের মধ্যে একটা বিশেষ স্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটনকে কেন্দ্র করেই রাজ্যে আগামীদিনে বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ত্রিপুরাকে একটি নেশামুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে রাজ্যের সমস্ত অংশের জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার সদভাবনা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সেবা করাই হচ্ছে সরকারের মূলমন্ত্র। কোভিডের অতিমারীর সময়ে রাজ্যের জনগণকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে রাজ্য সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে রাজ্যবাসী নিশ্চয়ই অবগত রয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের কল্যাণ বহু প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পগুলির সুবিধা জনগণের মধ্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পূর্ত দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব দেববর্মা।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সংগৃহীত

৩রা নভেম্বর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.