রাজ্যে অপরাধের হার শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে সরকার। পুলিশ কর্মীদেরও সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। নারীদের স্বশক্তিকরণেও কাজ করে চলছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার খোয়াই মহিলা থানার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। খোয়াই শহরের জেলাশাসক কার্যালয়ের সন্নিকটে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন ও পদস্থ পুলিশ আধিকারিকগণের উপস্থিতিতে এই মহিলা থানার উদ্বোধন হয়। মহিলা থানার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে সারা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে সাজাপ্রাপ্তির হারও। আর এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে পিপি, এপিপিদের সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায় ঠিকভাবে চার্জশিট আদালতে পেশ করতে না পারলে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যায়। এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে তদন্তকারী আধিকারিকদের। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে পুলিশ অফিসারদের জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করতে হবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য মতে অপরাধের দিক থেকে ত্রিপুরার স্থান অনেক নীচে রয়েছে। দেশের ২৮টি প্রদেশের মধ্যে নিচের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাদক বা ড্রাগসের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় ত্রিপুরা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে সরকার। এজন্য পুলিশ কর্মীদের আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ ড্রাগসকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে। মহিলাদের স্বশক্তিকরণেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এজন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরক্ষা দপ্তরে ১ হাজার কনস্টেবল এবং ৬ হাজারের অধিক স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ করা হবে। সেখানে ৩৩ শতাংশের ভিত্তিতে মহিলাদেরও নিযুক্তি দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার এমনই ব্যবস্থা চাইছে যাতে থানায় মহিলা পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিচার প্রার্থী মহিলারা যাতে তাদের সমস্ত সমস্যা বা অভিযোগ খোলাখুলি জানাতে পারেন। এতে উপকৃত হবেন নারীরাই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন বলেন, এই থানা উদ্বোধনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নারী সংক্রান্ত অপরাধ রোধ করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে আরক্ষা প্রশাসন।
এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক বিধায়ক কল্যাণী রায়, অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক সৌরভ ত্রিপাঠি, খোয়াই জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, ডিআইজি জি কে রাও, পুলিশ সুপার রতি রঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৫ই নভেম্বর ২০২২