গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। একতাই শক্তি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে বলেই খরানসিং পাড়া বায়োভিলেজ সোলার হ্যামলেট গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। শনিবার কিল্লা ব্লকের খরানসিং পাড়া বায়োভিলেজ সোলার হ্যামলেটের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা।
তিনি বলেন, এই গ্রামের সকলকে আত্মনির্ভর করার জন্য গরু, ছাগল, হাঁস, মোরগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের সকলের জন্য সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জৈব চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষিকাজ করার জন্য গ্রামের সকলের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার গ্রাম আমার সন্মান। এই ধারণা থাকলেই গ্রামের উন্নতি হবে। সরকারি সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি ভেবে রক্ষা করতে হবে।তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনটিকে খরানসিং দিবস হিসাবে পালন করা হয়েছে। আগামীবছরও এই দিনটিকে খরানসিং দিবস হিসাবে পালন করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, খরানসিং পাড়াকে আগে কেউ চিনতো না। এখন সবাই এই গ্রামকে চিনে। অনুষ্ঠানে জনজাতিকল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া বলেন, সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি সুযোগ সুবিধার সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। খরানসিং পাড়া বায়োভিলেজ সোলার হ্যামলেট এর একটা অন্যতম উদাহরণ। গ্রামের প্রত্যেক মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করে যাচ্ছে। যা আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রেডার যুগ্ম অধিকর্তা দেবব্রত শুরুদাস,বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের অধিকর্তা অনিমেষ দাস, প্রধান সচিব কে এস সেখি সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা খরানসিং পাড়ায় বসবাসকারী ৬১ জন সুবিধাভোগীকে ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন। এছাড়া ২৪ জন সুবিধাভোগীর হাতে ইম্প্রোভ কুক স্টোভ তুলে দেন। আজ উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মার হাত ধরে কিল্লা ব্লকের অন্তর্গত উত্তর ব্রজেন্দ্রনগর ভিলেজের ছাইমারওয়া বাজারে নির্মিত ৮টি মার্কেটস্টলের উদ্বোধন করা হয়। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ লক্ষ ২১ হাজার ১৯৫ টাকা। এছাড়া ছাইমারওয়া বাজারে একটি কমিউনিটি হলকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যার দ্বারোদঘাটন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৭ টাকা। কিল্লা ব্লকের উত্তর গজেন্দ্রনগর ভিলেজে এমজিএন রেগা প্রকল্পে নির্মিত সিসি রোডের উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা। এই রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
৫ই নভেম্বর ২০২২