কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে সারা রাজ্যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। সমাজের সকল অংশের জনগণ যাতে উন্নয়নমূলক কাজের সুফল ভোগ করতে পারেন তাই সরকার প্রতিঘরে সুশাসন অভিযান শুরু করেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। শনিবার ভারতচন্দ্রনগর আরডি ব্লকের নবনির্মিত দ্বিতল পাকা ভবন, গোডাউন এবং ব্লকভিত্তিক বিশেষ সুশাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ক্রাইম রিপোর্টে ত্রিপুরার স্থান ২৮টি রাজ্যের মধ্যে নীচের দিক থেকে পাঁচ নম্বরে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণ ছাড়া আর কিছু চায় না। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের হাতে অমৃত সরোবর লিজের কাগজ, লোনের চেক, মার্কেট স্টলের চাবি, মিনি চালের মেশিন, সেলাই মেশিন ইত্যাদি তুলে দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক, বিধায়ক শঙ্কর রায়, জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ এ, জেলা পুলিশ সুপার ড. কুলবন্ত সিং।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতচন্দ্রনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস। স্বাগত ভাষণ রাখেন ব্লকের বিডিও কাবেরী নাথ। উল্লেখ্য, বিলোনীয়ার মনুরমুখস্থিত এই ব্লক বিল্ডিং ও গোডাউন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৯৭ টাকা। তারপর মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন উত্তর সাড়াসীমার বিবেকানন্দ কলোনীস্থিত নবনির্মিত ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারের। সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয় ২ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৮৪ টাকা। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী আর্যকলোনী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবন ও অডিটোরিয়ামের দ্বারোদঘাটন করেন। সেখানে তিনি ছাত্রছাত্রীদের শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা, গানবাজনা, সাংস্কৃতিক চর্চার উপরও জোর দিতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক, জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ এ, পুলিশ সুপার ড. কুলবন্ত সিং, জেলা শিক্ষা আধিকারিক সুবীর মজুমদার, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান শৈলেন পাল। স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশিস চৌধুরী। উল্লেখ্য, এই ভবন ও অডিটোরিয়াম নির্মাণে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৯শে নভেম্বর ২০২২