সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের পিছিয়েপড়া মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। এসমস্ত প্রকল্পের সুযোগ রাজ্যের মানুষের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার মোহনপুর ব্লকের কালাছড়া জেবি স্কুল প্রাঙ্গণে মোহনপুর রকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলনের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মোহনপুর মহকুমা ভিত্তিক দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল মেলারও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ প্রকৃত সুবিধাভোগীদেরকেই দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসনের সূচনা হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই অভিযানে সুশাসন শিবির ও বিকাশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ব্লকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলনে কালাছড়া চা বাগানের ১১৪ জন শ্রমিককে ২ গন্ডা করে জমির পাট্টা দেওয়া হয়। তাছাড়াও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মাজু বন্দনা যোজনা ও মুখ্যমন্ত্রী মাতৃ পুষ্টি উপহার যোজনায় সুবিধাভোগীদের সহায়তা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় দুটি পরিবারকে হাঁস পালনে সহায়তা দেওয়া হয়।
তাছাড়া ৮ জনকে রেশন কার্ড, ১৯ জনকে এসসি সার্টিফিকেট, ২ জন দিব্যাঙ্গজনকে ট্রাই সাইকেল ও হুইল চেয়ার, ২ জন কৃষককে ব্যাটারি চালিত স্প্রে মেশিন দেওয়া হয়েছে। রকভিত্তিক লাভার্থী সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমা, মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়, মোহনপুর ব্লকের বিডিও নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীনা দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক দেবযানী চৌধুরী।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২৬শে নভেম্বের ২০২২