আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ দূতালয়ে সংবিধান দিবস উদযাপন

আরশি কথা

প্রভাষ চৌধুরী, আরশিকথাঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন করেছে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) সোমবার কুঞ্জবনের দূতালয় প্রাঙ্গণে নানা আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুপুর ১২টায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।






আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব মো. আল আমীন, আগরতলার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোস্তফা কামাল, ইতিহাসবিদ ড. মোজাহিদ রহমান, ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায় ও সমাপনী বক্তব্য দেন মিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। প্রথমবারের মতো‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপন করাকে স্বাগত ও বাংলাদেশের সংবিধান পৃথিবীর সুলিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, সংবিধান একটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের কার্যপরিধিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ামক দলিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখার ওপরও অতিথিরা গুরুত্বারোপ করেন।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদকে। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ভারতীয় বীর শহীদদের। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আশা-আকাঙক্ষার একটি অনন্য রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে রকমারি বল্লমের অজস্র খোঁচায়। চেষ্টা করা হয়েছে সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূল চরিত্র পাল্টে দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় সাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বিচার বিভাগসহ সর্বস্তরের বাঙালি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সব সময় সচেষ্ট থেকেছে এবং আছে সংবিধানের মূল চরিত্র ও কাঠামোকে রক্ষা করতে। আরিফ মোহাম্মাদ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ‘ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তাহলে আমার জীবন সার্থক হবে, শহীদের রক্তদান সার্থক হবে’।
‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ত্রিপুরার সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. রেজাউল হক চৌধুরী।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ

১৪ই নভেম্বর ২০২২
 

3/related/default