Type Here to Get Search Results !

ত্রিপুরার উন্নয়নের আরও গতি আসবে : মোদি

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


বিগত প্রায় পাঁচ বছরে ত্রিপুরার উন্নয়নের দরাজ কণ্ঠে প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ডবল ইঞ্জিনের সরকারের ত্রিপুরায় উন্নয়নের গতি আরো দ্রুত হবে বলে জানিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সময়কালের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা টেনে বলেন, আগে নির্বাচন ও হিংসার ঘটনায় ত্রিপুরা নিয়ে চর্চা হতো। আর এখন স্বচ্ছতা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এসবের জন্য ত্রিপুরা নিয়ে চর্চা হয়।

প্রধানমন্ত্রী জনজাতিদের নিয়েও বেশ কিছু কথা বলেন। তিনি দাবি করেন জনজাতিদের প্রথম পছন্দ বিজেপি। অটল বিহারী বাজপেয়ির সময় জনজাতিদের জন্য পৃথক মন্ত্রক, পৃথক বাজেট করা হয়। একলব্য মডেল স্কুলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রচার প্রসারে সরকার কাজ করছে বলে দাবি করেন মোদি।

ত্রিপুরার উন্নয়নের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্র থেকে লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার কাজ করছে। গ্রামগুলিকে রাস্তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ রেল পথ চালু হলে বাণিজ্যের নতুন রাস্তা খুলবে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত হাজারের বেশি হেল্থ এন্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ত্রিপুরায়।
স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত তিন বছরে ত্রিপুরায় ৪ লক্ষ পরিবারে পাইপলাইনে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সব গরিবদের তিন বছর ধরে বিনামূল্যের রেশন দেওয়া হচ্ছে। এক লক্ষের বেশি গর্ভবতী মহিলা প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনায় লাভবান হয়েছেন। মহিলা স্বসহায়ক দলের সংখ্যা এখন নয় গুণ বাড়ানো হয়েছে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন ত্রিপুরা এখন বিকাশের রাস্তায় হাঁটছে। ত্রিপুরার আরো উন্নতির জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিগত পাঁচ বছরের স্বচ্ছতাকে ত্রিপুরার মানুষ যেন আন্দোলন বানিয়েছেন বলে ত্রিপুরাবাসীর প্রশংসা করেন মোদি। প্রসঙ্গত আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে শহরের প্রতিটি কোণায় কোণায় স্বচ্ছতা অভিযান করা হয়। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর মাঠে প্রবেশ করার কথা ছিল বেলা আড়াইটা নাগাদ। কিন্তু তিনি আসেন বেলা চারটার পর। এর জন্য মাঠে উপস্থিত এবং মাঠের বাইরে অপেক্ষারত সবার কাছে নতমস্তকে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। মেঘালয়ের অনুষ্ঠানে দেরি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মেঘালয় থেকে গুয়াহাটি হয়ে এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন তিনি আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের উদ্বোধন করেন বোতাম টিপে। খয়েরপুর আমতলী বাইপাস সড়কের প্রশস্তিকরণ ও আনন্দনগরস্থিত স্টেট ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টের উদ্বোধন করেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ২৩২ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৫৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১১২টি রাস্তা (রাজ্য ও জেলা হাইওয়ে) এর শিলান্যাস করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই লক্ষের বেশি গরিব পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে পাকা ঘরে প্রবেশ করেছে। যে ঘরগুলি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিফিশিয়ারিদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।




স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানের মঞ্চে এদিন উপবিষ্ট ছিলেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য, মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, উপ মুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, সংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও সাংসদরা।
বেলা প্রায় এগারোটা থেকেই মাঠে মানুষ প্রবেশ করতে শুরু করে। বেলা প্রায় চারটা পর্যন্ত প্রখর রোদে অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বহু মানুষ মাঠে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে জনজাতিদের বেশ ভালই উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

১৮ই ডিসেম্বর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.