Type Here to Get Search Results !

চিঠি ।। সজল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম

।। চিঠি ।।


বহু দিন ধরেই ভাবছি চিঠি লিখি,

সময়াভাবে তা আর হচ্ছিল না।

অবশেষে  সময় বার করে  আজ লিখতে বসলাম।


তিন সত্যি বলছি তোর কথা মনে আসতেই  লিখতে বসেছি চিঠি ।

আচ্ছা তোর বক্রেশ্বর নদীর কথা মনে আছে?

যার জল কত স্বচ্ছ ছিল তার আজ কী দশা হয়েছে‌। জানিস এখানে তাপবিদ্যুৎ শিল্প হয়েছে।

আর সেই তাপবিদ্যুৎ-র ছায়ে বদলেছে  নদীর জলের  রঙ।


মনে আছে তোর এক টাকার ডাক্তার সুশোভন বাবুর কথা? আহ্ যেমন দেখতে ছিল তেমনি তার ব্যবহার আর রোগীর প্রতি দয়া মায়া‌।

করোনায় বহু মানুষকে সুস্থ করে দিন কয়েক আগে নিঃশব্দে চলে গেলেন।

বিনা বেতনের হাবল  মাস্টারের কথা মনে পড়ে?

যিনি নিজে না খেয়ে অন্যদের খাওয়াতেন তিনিও গেলেন চলে।

তাড়িনি খুড়োর কথা নিশ্চয়ই খুব আছে মনে?

সমাজসেবাই  যার ধর্ম করোনা তাঁকেও নিল টেনে।


বগলার মেয়ে শৈলবালাকে মনে আছে ?

সাপে কাটায় ওঝাকে দেখিয়ে বেঘরে গেল প্রাণটা ।

আমোদপুরের গর্ব সুগার মিলের কথা মনে আছে?

তা এখন আগাছা ও সাপের বাসা হয়েছে । 

মডেলটাও বন্ধ এককালে যা ট্রেনিং সেন্টার ছিল। এখন তার জীর্ণ দশাশয় হাড়কঙ্কাল সার হয়েছে ।


ছোট লাইনের কথা নিশ্চয়ই খুব মনে আছে তা আর ছোট্টটি নেই মস্তবড়  হয়েছে  । 

নেতাজী সুভাষ মেলা যত বড় ছিল আজ ঠিক ততটাই ছোট হয়েছে। 


দীর্ঘদিনের জমানো কথা রঙিন খামে দিলাম লিখে ।

বন্ধু  আমার  ভালো থাকিস সুখে থাকিস । উত্তরের আশায় রইলাম।


- সজল চট্টোপাধ্যায়, আমোদপুর

 বীরভূম


ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

২৮ জানুয়ারি ২০২৩

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.