বিপত্তির আমন্ত্রণে হাউ-মাউ-খাউয়ের মাথাধরা-পালিশ!
রাক্ষস আর দানবের যৌথ কুচকাওয়াজে
নির্ভেজাল হৃদয়ে শঙ্কার ডমরু ঝনঝনায়!
রক্তের অভিধানে জাগে যেন হাজার গন্ডা নালিশ!
জড়সড় প্রাণে উন্নত অম্লজান কোথা কোথা কোথা
অসময়ের অমাবস্যাতে ?
না হে না! উচ্ছ্বল উজ্জ্বল উদ্যমী প্রয়াসেও তখন
ছড়ায় টন টন ভয়ানক বিষ!
না-জানা মেঘলা পরিবেশে ঢিপঢিপানি অর্হনিশ|
কুয়াশা-ধোঁয়াশায় বঙ্কিম চলনপথে শ্বাপদের
চলাচলে ঠুলি বাঁধা চোখে নেই প্রবেশাধিকার|
স্নায়ু জুড়ে ত্রাসের তর্জন-গর্জন অতএব
সহ্যাতীত হলেও সহ্য-কেই করে কুর্নিশ-
তবুও আত্মনিয়ন্ত্রণ যদি হয় পতিতপাবন
যদি অশুভ ললাটের জোটে খাঁটি পদস্খলন,
না-কাম্য দুর্দশাগুলো হেলায় উড়িয়ে-পুড়িয়ে
জীবনে ফিরুক আলোক-আশীষ |
- সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, কোলকাতা
২৮ জানুয়ারি ২০২৩