বুলি ।।
মা,
বুলি দিলে,পড়তে শিখতে মনের কথা বলতে।গ
পথ দেখতে, দেখাতে আর শপথ নিতে।
কিন্তু, তুমি কি জানো মা,
অতি উৎসাহে ঘরের কথা ঘরে রয় না।
তোমার বুলি চুরি করে মুখোশ বানায়, সন্ত্রাসে মাতে।
হাটে ঘাটে গাড়িতে দূষন করে উৎকোচ যাচে।
ইতস্তত অবাক হয় বয়ঃসন্ধি সম্ভ্রম ।
অথচ,
প্রতিবার বুলি উৎসবে মনে পড়ে, বলিদান
রফিক জব্বার, কমলা হিতেশ, ধনঞ্জয়কে।
মনে পড়ে অবদান,
ঈশ্বর সব চন্দ্রভূষণ রবি নজরুল সুকান্ত,
লালন চৈতন্য বীণাই আর সত্যজিৎকে।
ভুলে যাই 'মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম'।
আমাদের বাঁচামরা সব তোমার হাতে,,,,
মা তোমার বুলির আরেকটি অভিধান দাও।
তাতে যেন প্রজন্ম খুঁজে না পায়,
বিকৃত সব নির্লজ্জ কাল শব্দ।
এমনকি বর্তমানও।
- চন্দন পাল, ত্রিপুরা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩