ত্রিপুরা তাঁর দ্বিতীয় ঘর। সোমবার আগরতলা বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে দুইদিনের সফরে আগরতলায় এসেই এদিন তিনি সোজা চলে যান উদয়পুরে মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে।
সেখানে পূজা দিয়ে ফেরার পথে বিশ্রামগঞ্জ বাজারে দাঁড়িয়ে চা খান। পাশাপাশি সিঙ্গারা তৈরির জন্য হাতে বেলনি তুলে নেন। দোকানে নিজেই পান বানান। খোশমেজাজে তাঁর দাবি, রুটি বেলনি থেকে পানের খিলি তৈরি সবই জানি।ছোটবেলা থেকেই সমস্ত কাজ শিখেছি।প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যে এসেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার পদযাত্রা এবং রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে পথসভায় তিনি অংশ নেবেন।
এদিন আগরতলা বিমান বন্দরে নেমেই তাঁর দাবি,পশ্চিমবঙ্গ তাঁর প্রথম ঘর, ত্রিপুরা দ্বিতীয়। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, অতীতে বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেব, মনোরঞ্জন ভক্ত ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ওই সময় সোনামুড়া থেকে কৈলাসহর চষে বেরিয়েছি তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মধ্যে খুব একটা ফারাক নেই। ভাষা, খাবার সহ সংস্কৃতিতেও মিল অনেক। তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘ সময় ধরে ত্রিপুরায় লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে। দলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কসহ নেতা কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও, তৃণমূল থেমে যায়নি এখনো।
এদিন তিনি উদয়পুরে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পূজা দিয়েছেন এবং মায়ের আশীর্বাদ চেয়েছেন।
আগরতলায় ফেরার পথে বিশ্রামগঞ্জ বাজারে সবাই মিলে চা খেয়েছেন। বিশ্রামগঞ্জ বাজারে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপচারিতার পাশাপাশি পানের খিলি তৈরি এবং সিঙ্গাড়া বানানোর কাজেও হাত লাগান তিনি।