বহুতল ভবনে উন্নীত হতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ত্রিপুরা উপপ্রান্তের কার্যালয়। বৃহস্পতিবার ভূমি পূজনের মাধ্যমে শিলান্যাস হয় ত্রিতল ভবনের।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এবং শান্তিকালী আশ্রমের মহারাজের হাত ধরে শুভারম্ভ হয় বহুতল ভবনের কাজ। উল্লেখ্য,ষাটের দশকে যখন হিন্দু ধর্মের উপর বিভিন্নভাবে আঘাত আসছিলো তখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গোটা দেশের সাথে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকাণ্ড শুরু হয় ত্রিপুরাতে। ছোট্ট একটি অস্থায়ী কাঁচা ঘরে তৈরি হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিস। রাজধানীর শংকর চৌমুহনীর গীতা ভবনে চলতো পরিষদের কাজকর্ম। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বাড়তে থাকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য সংখ্যা।প্রয়োজন পড়ে একটি বহুতল ভবনের। অবশেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় অর্থানুকুল্যে এবং রাজ্যের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহায়তায় বহুতল ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সেই বহু প্রত্যাশিত বহুতল ভবনের শিলান্যাস হয় সম্পূর্ণ ধর্মীয় আচর আচরণের মধ্য দিয়ে। শিলানাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, শান্তিকালী আশ্রমের মহারাজ চিত্তরঞ্জন মহারাজসহ সংগঠনের বিভিন্ন অংশের কর্মকর্তারা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু ধর্ম এবং দেশে কৃষ্টি সংস্কৃতিকে রক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। এমন একটি কাজে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। এদিকে ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শান্তিকালী আশ্রমের মহারাজ বলেন এই ভবনটির ভূমি পূজনের মাধ্যমে শুধু রাজ্যেই নয়, গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মের একটি মেরুদন্ড স্থাপিত হয়েছে। এদিন বহুতল ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক এবং বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও সন্ন্যাসীরা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩