কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাথে অদৃশ্য সমঝোতা হয়েছে তিপ্রা মথার। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বাহিনী তৈরিতে গোপন সহযোগী প্রদ্যোত কিশোরের দল। সোমবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় শান্তিরবাজারে বিজয় সংকল্প জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এভাবেই তিপ্রা মথার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, তিপ্রা মথাকে ভোট দেওয়ার অর্থই হল সিপিএম-কংগ্রেসকে সহযোগিতা করা। তাঁর কথায়, সিপিএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা একত্রে রয়েছে। ফলে, তিপ্রা মথা কিংবা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া হলে সিপিএমই সরকার গঠন করবে। তাঁর দাবি, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হলে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে। কারণ, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ একমাত্র বিজেপিই।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শুরু থেকেই তিপ্রা মথাকে নিশানা করেছেন। তিনি তিপ্রা মথার নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সিপিএম হাজার হাজার মানুষের হত্যা করেছে, তাদেরকে সমর্থন কিভাবে করছেন? তাঁর দাবি, গত ৫০ বছরে গরীবের কাছে উন্নয়ন পৌছেনি। মহিলাদের জন্য শৌচালয় অলীক স্বপ্ন ছিল। তেমনি রাজনৈতিক কারণে জনজাতি এলাকায় উন্নয়নের ধারা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ৫ বছরের বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের সাথে বামফ্রন্ট সরকারের ২৫ বছরের তুলনা টেনে আনেন। তাঁর দাবি, বিজেপি জোট সরকার মহিলাদের জন্য অনেক কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ত্রিপুরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ, সিপিএমের শাসনে ত্রিপুরা সন্ত্রাস, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, মানব পাচার, মাদক পাচার এবং জনজাতিদের উপর অত্যাচার হয়েছে।কিন্তু, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি দারুণভাবে বদলে গেছে। কারণ, উন্নয়নের নিরিখে বিজেপি ক্ষমতায় টিকে রয়েছে, বলেন তিনি। তাঁর দাবি, নতুন রাস্তা, পানীয় জলের সুব্যবস্থা, করোনা মোকাবিলায় দু'টি টিকা, শিল্প এবং জৈব চাষ ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিভেদ দূর করেছে। তাঁর মতে, ত্রিপুরায় সিপিএমের ক্যাডার রাজের অবসান ঘটিয়েছে বিজেপি। তার বদলে উপহার দিয়েছে সুশাসন।এদিন শান্তির বাজারের পর খোয়াইয়েও তিনি অনুরূপ জনসভা করেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩