সরব প্রচারের শেষ মুহূর্তে ভোট প্রচারে ঝড় তুললো শাসক-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি৷ ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় শেষ হয় সরব প্রচার৷ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভোট প্রচারে ঝড় তুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বড়দোয়ালীতে রেলি করেন। সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। আজ সকালে নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতন মাঠে জমায়েতের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারমূলক রেলি বের হয় সামনে গাড়িতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এবং মেয়র দীপক মজুমদার। পিছনে ছিল শতাধিক অটো এবং টমটম।ব্যাপক সংখ্যক কর্মী সমর্থকরা তাতে অংশ নেয়। রেলিটি বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। এদিকে বনমালীপুর কেন্দ্রে র্যালি বের হয় প্রার্থী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের সমর্থনে। বিধানসভা নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্র বনমালীপুর।দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত থাকলেও ২০১৮ সালে বিজেপির দখলে যায় বনমালীপুর কেন্দ্রটি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়। এলাকার বিধায়ক হয়ে বনমালীপুর এলাকার উন্নয়নে নানা কাজ করে গেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বর্তমানে এই কেন্দ্রের প্রার্থী শাসকদল বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।বিজেপির মনোনীত প্রার্থী রাজীব ভট্টাচার্যের হয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এলাকার বেশ কয়েকবার জনসভায় রাজীববাবুর সঙ্গে দেখা গেছে বিপ্লব বাবুকে। তিনি পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে রাজীববাবুকে জয়যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীর কাছে। প্রচারের শেষ লগ্নে এসে মঙ্গলবার প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে করলেন রেলি।১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের মনোনীত প্রার্থী মিনা রানী সরকার জোর কদমে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার চালিয়েছেন।৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বাম কংগ্রেস দলের মনোনীত প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন নিজ বিধানসভা এলাকায় প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুললেন।
সরব প্রচারের শেষ লগ্নে প্রচারে পিছিয়ে থাকেননি বড়দোয়ালী কেন্দ্রের কংগ্রেস - সিপিএম জোট প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা।
প্রচারের শেষ দিনে সিপিআইএম ও ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থীরাও ১ ইঞ্চি জমির ছাড়তে রাজি নন।তারাও জোরদার প্রচারে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন। আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৫৯ জন প্রার্থী৷ প্রত্যেকেই তাদের নিজের এলাকায় নিজের মত করে শেষ মুহূর্তে ব্যাপক প্রচার চালায়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩