Type Here to Get Search Results !

লাজ ।। ছোট গল্প ।। তপন কুমার দাশ ।। ঢাকা

 লাজ ( ছোট গল্প ) 


প্রায়  বছর পাঁচেক ধরে ইন্দিরা রোডের এ  বাড়িতে আছে মামুন। থাকলে কি হবে, এ এলাকার তেমন কেউ তাকে চিনে না। সামনের মুদি দোকান, লন্ড্রি, সেলুন আর ওষুধের দোকানদারের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তবে তারাও মামুনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানে না। কারো সঙ্গে পরিচিত হবার ইচ্ছেও নেই মামুনের। সেও এ এলাকার অন্য কাউকে তেমন একটা চিনে না।

সকালে ঘর থেকে বর হয় মামুন। ঘরে ফিরে রাত আটটা-নয়টা নাাগাদ। তারপর খেয়ে-দেয়ে আবার বের হয়। সামনের গলি ধরে হাঁটাহুটা করে, কোনদিন হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় ফার্মগেটের দিকে। আবার কোনদিন যায় পান্থপথের দিকে। ঘুরাফেরা করে, আড্ডা দেয় রাত এগারো টা বারো টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিন অবশ্য দিনের বেলায়ও দু’একবার ঘর থেকে বের হয় মামুন। কখনো কখনো দুপুরবেলা বের হয়ে আশেপাশের কোনো কফি শপে গিয়ে কফি খেয়ে আসে।

এ এলাকাটা খুব ঘিঞ্জি। অনেক লোক থাকে। প্রায় সারাক্ষণই লোকজনের চলাচল, পুরুষ নারী সমান সমান। ঘরভাড়া বেশি  বলে সচ্ছল লোকেরাই থাকে এখানে। প্রায় সকলেই দেশের নানা অঞ্চল থেকে এসেছে।

গত দু’বছর ধরেই মামুন এ মেয়েটিকে দেখে। প্রথম প্রথম খেয়াল করত না। কিন্তু কিছুদিন থেকেই খুব ভালো করে খেয়াল করছে। মেয়েটির  হাতে সব সময় একটি পরিপাটি ব্যাগ থাকে। মনে হয় অফিস যাচ্ছে বা কাপড়চোপড় নিয়ে কোথাও বেড়াতে চলেছে। হাঁটা-হাটির এ সময়টাতে মামুনের খুব একটা সিরিয়াস কোনো কাজ থাকে না। হয়তবা সেজন্যই কিংবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক না কেন, মামুন চলার পথে আড় চোখে চেয়ে চেয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। কি থাকে মেয়েটির এই ব্যাগে। অবশ্য বইপত্রও হতে পারে।

সেদিন সন্ধেবেলা মামুন ঘর থেকে বের হতেই দেখে তার প্রায় বিশ-বাইশ গজ সামনে দিয়ে মেয়েটি হেঁটে চলেছে। মামুন পিছন পিছন হাঁটতে থাকে। এমনভাবে হাঁটছে যাতে সে বুঝতে না পারে। এ গলি ও গলি পার হয়ে মেয়েটি তেজগাঁও কলেজের সামনে আসে। তারপর হঠাৎ ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়। প্রায় আটটা অবধি দাঁড়িয়ে থেকে এদিকসেদিক ঘুরাফেরা করে মামুন খুঁজতে থাকে মেয়েটিকে। ভাবে নিশ্চয় কোনো মার্কেটে বা কারো বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সে ফিরে যায় নিজ চলাচলে।

আরও একদিন রিকশা করে ফিরছিল মামুন। হঠাৎ দেখে সেই মেয়েটি ফুটপাত ধরে উল্টো দিকে যাচ্ছে। মামুন রিকশাটি ঘুরিয়ে আজও তার পিছু নেয়। গলির ভিতর একটু গিয়েই হাতের বামপাশে অনেকগুলো উঁচু উঁচু দালান। অনেকগুলো খ্রিষ্টান পরিবার সেখানে জড়াজড়ি করে বাস করে। সে এলাকায় ঢুকলেই হাতের বামদিকে পড়ে কয়েকটি মুদি দোকান, আর পাশেই ছোট্ট একটি কাপড়ের দোকান। হঠাৎ সে দোকানে ঢুকে পড়ে মেয়েটি। মামুন প্রায় আধাঘণ্টা দোকানের সামনে নানা ধরনের কাজের ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসার জন্য ঘরের দরজা ঠেলে ধরে মেয়েটি।  ঠিক সেই সময়ই মামুনও দোকানের ভিতর ঢুকবে বলে সামনে এগিয়ে আসে।

 মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করেই জানতে চায়, এখানে কি ছোটদের গেঞ্জি আছে?

 কিন্তু মেয়েটি তার দিকে বিন্দুমাত্রও না তাকিয়ে একরকম বিরক্তি সহকারেই  বলল, দেখুন ভিতরে গিয়ে।

এমন ভাবে কথা ক’টি বলল মেয়েটি, মামুনের মনে হলো কেউ যেন তার মুখের উপর ঠাস করে একটি চড় মারলো আর ধমকের সুরে বলল, আমাকে জিগ্যস করার কী আছে, দোকানে গিয়েই জানতে চাও না।

মামুন দেখলো মেয়েটি সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছে সামনের দিকে। তার আজ আর মেয়েটি পিছু নিতে বিন্দুমাত্রও ইচ্ছা করল না। ধীরে ধীরে  সে পা বাড়াল ঘরের দিকে।


সরকারি অফিসের অনেক বড় কর্মকর্তা মামুন। প্রতিদিন কত শত লোক, নারী-পুরুষ আসে তার কাছে। অনেকদিন কাজ করেছে উপজেলার বড় কর্মকর্তা হিসেবে। কতজন তার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য, একটু দেখা করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকত।  এখনও বসে থাকে অনেকেই। মাঝে মাঝে কারো সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে খুবই বিরক্ত লাগে। ফোন খোলা থাকলে মাঝ রাতেও ফোন আসে। অনেক সুন্দরীরাই মামুনের সঙ্গে ভাব জমাতে চায়। সব সে  বুঝতে পারে, কিন্তু তার তো সময় নেই। অথচ এই সাধারণ  মেয়েটি আজ তার দিকে ফিরেও তাকালো না, একটুও কথা বলল না! এ মেয়েটির প্রতি তারই-বা এ দুর্বলতা কেনো, মামুন তাও ভেবে পায় না।

গ্রামের এক অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম মামুনের। বাড়ির পাশে ছোট ফেনী নদী। প্রায়ই নদী তীরে গিয়ে বসে থাকত সে। নদীর ¯^চ্ছ অগভীর টলটলায়মান জলরাশিতে নিজের ছায়া পড়ে সৃষ্টি হতো স্প®ট প্রতিবিম্ব। সে কম্পিত প্রতিবিম্বের উপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ে টলটলায়মান জলরাশিকে খণ্ডিত-বিখণ্ডিত করে সকাল বিকাল নদীতে সাঁতার কাটত মামুন। ছোট্ট নদীটির  বাঁকে ঘুরে ফিরেই ছোটকাল কাটিয়েছে সে। নদীর জন্য তার অনেক ভালোবাসা। মরে যাওয়া নদীগুলোর কথা মনে হলে খুব কান্না পায়। চিত্রা, পুনর্ভবা, ইছামতি, আত্রাই সব সময়ই মামুনকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। দিনাজপুর থেকে ফেরার পথে একটি ছোট্ট পুল দেখে সেখানেই গাড়ি থামায় মামুন। একজনকে জিগ্যেস করে জানতে পারে এটা ইছামতি নদী। পশ্চিম দিক থেকে এসে একটু বামদিকে মোড় নিয়ে সোজা প্রবাহিত হয়ে আশেপাশের গ্রামগুলোকে দু’ভাগ করে দিয়ে পূর্ব দিকে চলে গিয়েছে ইছামতি। মামুন জানে এ দেশের নানা স্থানে নানা নদীর নাম ইছামতি। ঢাকার দক্ষিণে দোহার এলাকায়ও একটি ইছামতি নদী আছে। তবে দেশের উত্তর অংশে বয়ে চলা এই নদীটিই আসল ইছামতি। আাহারে ইছামতি!


  সাহিত্যের  ছাত্র মামুন। কবিগুরুর লেখায় পড়েছে, হরদেব তার প্রেমিকা পার্বতিকে বলছে,  যখন রবো না এ ধরায়----মন্দ মন্দ বইবেক ওই ইছামতি।  কিন্তু হায়, বয়ে চলা দূরে থাক, ইছামতির বুকে আজ আর এক ফোঁটা জলও নেই, যেনো গুমরে গুমরে কাঁদছিল নদীটি। সেদিন ইছামতির তীরে অনেকক্ষণ বসেছিল মামুন। ইচ্ছে হচ্ছিল সেই নদী তীরে ঘর বেঁধে সেখানেই থেকে যায়।

এ মেয়েটিকে দেখলেও মামুনের মনে হয় যেন একটি নদী। তার শরীরেও যেন নদীর মতই আঁকবাঁক, উঁচু-নিচু নদীতট। কালচে গোলাপী রঙের আঁটশাট পাজামা ও কামিজ পরে মেয়েটি সেদিন যখন মামুনের সামনে পড়ে, তখন ইচ্ছে হচ্ছিল এক্ষনি ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ সাঁতরে নেয়। কিন্তু নদী থেমে থাকে না, বয়েই চলে। ততক্ষণে সব আঁকবাঁক দূরে সরে যায়। মামুনের সামনে পড়ে থাকে  শুধুই ইট-পাথরে ঢাকা কঠিন এক গলিপথ।

শাড়িতেও আশ্চর্য সুন্দর লাগে মেয়েটিকে। কিছুটা ভারী শরীর। লম্বাটে গোল মুখবায়বে যেন রাজ্যের গোলক ধাঁধা। মামুনের মনে হয় যেন রাধা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েটি যখন কারো সঙ্গে কথা বলে তখন মনে হয় শ্রী রাধা দাঁড়িয়ে আছে, কৃষ্ণের বাহু ধরে। আর তখনই নিজেকে মনে হয় বংশীধারী। কিন্তু মামুন জানে অতি সাধারণ এই মেয়েটি হয়ত বংশীধারীর নামও শুনে নি। শ্রী কৃষ্ণের বাঁশী বৃন্দাবনেই শুধু বাজে। রিকসা, টে·ি আর প্রাইভেট কারের ঠেলাঠেলিতে রাস্তায় দাঁড়ানোই কঠিন হয় মামুনের জন্য, বংশীবাদন তো দূরের কথা।


মামুনের ফ্লাট বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু ডানদিকে হেঁটে গেলেই একটি উঁচু দালান। অনেক মানুষ থাকে এ বাড়িতে। এজন্যই এর পাশেই জমে উঠেছে একটি ছোট্ট মুদি দোকান। দোকানটিতে চকলেট চানাচুর, বিস্কুট থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। রাত নয়টার দিকে কোথা থেকে এসে মেয়েটি দোকানের সামনে দাঁড়াল। কি যেনো কিনতে আসা একজন লোকের সঙ্গে কি নিয়ে যেনো আলাপ শুরু করল। মামুনও সেখান দিয়েই যাচ্ছিল। আনমনে সেও দোকানের দিকে এগিয়ে গেল। মেয়েটির দিকে চোখ পড়তেই মামুন কি যেনো বলতে গেল। কিন্তু মেয়েটি দ্রুত তার চোখ ফিরিয়ে নিল, চলেই গেল সেখান থেকে।

আবারও ধাক্কা খেলো মামুন। কিন্তু কিসের এ ধাক্কা! সে ছাড়া আর অন্য কেউ সে খবর জানে না। মামুন আজ মনে মনে ঠিক করে আর বাকি জীবনে কোনো দিন এ মেয়েটির ধারে-কাছেও যাবে না।  

এ এলাকায় কী হয়েছে কে জানে। প্রায়ই লাইনে পানি থাকে না। অনেকেই টানা মেশিন বসিয়ে পানি সাপ্লাইয়ের পাইপ থেকে সব পানি টেনে নিয়ে যায়। ফলে যাদের বাসায় টানা মেশিন নেই তারা পানি পায় না। তীব্র সঙ্কট দেখা দেয় পানির জন্য। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা হলেই সবাই পানি নিয়ে কথা বলে। প্রায়ই দেখা যায় বৌ-ঝিরা ভোরে কিংবা রাতে  অন্যের বাড়ি থেকে  পানি নিয়ে আসছে। বহুতল ভবনের মানুষেরা মাঝেমাঝেই ওয়াসার গাড়ি করে পানি এনে নিজেদের প্রয়োজন মেটায়।


সেদিন কেন জানি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মামুন। ঘরের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাস্তায় কোনো মানুষ নেই। হঠাৎ মামুনের চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই ছায়া।  সে দেখল, হাতে একটি ছোট কলস আর এক হাতে একটি বালতি নিয়ে সেই মেয়েটি পাশের বাড়ির দরজায় নক্ করছে। মামুন দেখল, ভিতর দেখে দরজা খুলেই মেয়েটিকে দেখে আবার তারা দরজাটি বন্ধ করে দিল। তারপর মেয়েটি আরেক বাড়ি গিয়ে তাদের দরজায় নক্ করল।

মামুন বুঝল মেয়েটির ঘরে বোধ হয় মোটেও পানি নেই। তাই মানুষ রাস্তায় বের হওয়ার আগেই সে একটু পানি চাইতে রাস্তায় নেমেছে। কে আছে মেয়েটির বাড়িতে!

মামুন শুনেছে, এ মেয়েটি একটি স্কুলে পড়ায়। তারপর  দু’একটি বাড়িতে গিয়ে  টিউশনি করে, আবার মেয়েদের ড্রেস্ তৈরী করে দিয়ে আসে বাড়ী বাড়ী।।  ঘরে তার বৃদ্ধ বাবা-মা। তার উপরই সংসারের সব দায়িত্ব। মামুনের খুবই খারাপ লাগল।

আজ এ মেয়েটিকে দেখে কেন জানি ইচ্ছে করলো, মেয়েটিকে ডেকে বলে, আমার ঘরে এসো, ইচ্ছে মতো পানি নিয়ে যাও,ভিজে যাও, ভেসে যাও পানিতে।

কিন্তু, বলা হয় না। মেয়েটি চলে যায় তার দৃষ্টির আড়ালে, আজও।

সেদিন রাত তখন প্রায় বারোটা হবে। আজও  মামুন হাঁটতে বেরিয়েছিল। ফিরতে ফিরতে একরকম দেরীই হয়ে গিয়েছে। গলিতে লোকজন তেমন কেউ নেই। একা একাই হাঁটছিল মামুন। কিছুদূর আসতেই হঠাৎ তার চোখে পড়ে সামনের আলো-আঁধারীতে এক অপূর্ব দৃশ্য, যেন ছবি। কাঁখে একটা কলসি আর এক হাতে একটি বালতি নিয়ে এঁকে বেঁকে হেঁটে আসছে সেই মেয়েটি।

হঠাৎ মামুনের সামনে পড়াতেই কেমন যেন হয়ে গেল মেয়েটি। ওর কাছে আসতেই পাশের দিকে একটু  ঘুরে হঠাৎ  দাঁড়িয়ে পড়ল মেয়েটি। নিজেকে যেন কিছুটা আড়াল করে পানি ভর্তি বালতিটি রাস্তার উপর রাখল। ভেজা শাড়ির আঁচলটি টেনে দাঁতে কামড়ে ধরে নিজেকে যেন ঢাকতে চাইল । একটু থেমে যেন কিছুটা আড়চোখেই মামুনের চোখের দিকে তাকাল।

খুবই আস্তে, একেবারেই শান্ত গলায় মেয়েটি বলল, আমার বাসায় পানি নেই তো!

একেবারেই মৃদু স্বরে যেনো মামুনের কানে কানে বলল, সারাদিন বাইরে থাকি তো, পানি উঠাতে পারি না।

এই প্রথম একটু দাঁড়িয়ে মামুনের চোখের দিকে তাকিয়ে তার সঙ্গে কথা বলল মেয়েটি। কিন্তু কেন, মামুনতো তার কাছে কিছু জানতে চায়নি । অনেকটা মধ্যরাতের এই নিভৃত সময়ে তার সারা শরীরেও যেন শিহরণ বয়ে হেল। মনে হলো যেন কত জনমের চেনা এই মেয়েটি। এই মাত্র গোসল সেরেছে, এখনও ভেজা গায়ে। সারা শরীরে লেপ্টে আছে শাড়ি। শরীরের প্রতিটি আঁক-বাক, উঁচু-নিচু অংশ যেনো ভিজে ভিজে আরও সতেজ, আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।এ অবস্থায় মামুনের সামনে পড়ে লাজে যেন মরে গেল মেয়েটি।অন্য দিন হলে মামুন দাঁড়াত, কথা বলত প্রাণভরে। খুশীতে তার মন উদ্বেলিত হতো। আর একটু কথা বলার জন্য হয়ত অনুনয়-বিনয়ও করতো। হয়ত কাব্য করেই বলতো. নদী তুমি কোন কথা কও?কিন্তু আজ আর মামুন নিজেই দাঁড়াল না। মনে হলো, সে নিজেও লাজে মরে যাচ্ছে। মামুন সামনের দিকে পা বাড়াল। কিছুদূর এসে আবার পিছন ফিরে দেখল।

ধীরে ধীরে মেয়েটির বাঁকানো কোমর আর লতানো শরীরের ধূসর কালো ছায়াটি লম্বা হয়ে পথের উপর বিছিয়ে পড়ল। এ ছায়াটি  আরো দিঘল আর লম্বা হয়ে হয়ে পথের উপরই মিলিয়ে গেল।


তপন কুমার দাশ, ঢাকা  


ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

২৬ মার্চ ২০২৩ 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.