আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ০৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সহকারী হাই কমিশন কর্তৃক দূতালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ দিন সকাল ০৯:৩০ ঘটিকায় দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ০৯:৩৫ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।সকাল ০৯:৪৫ ঘটিকায় জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরনকারী সদস্যবৃন্দ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎস্বর্গকারী শহিদদের স্মরণে ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সকাল ০৯:৪৬ ঘটিকায় জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরনকারী সদস্যবৃন্দ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎস্বর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। সকাল ০৯:৫০ ঘটিকায় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অতঃপর সকাল ১০:০০ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র মিশনের সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্যামল চৌধুরী, মহান মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত কুমার ভট্টাচার্য, আগরতলা আইএলএস হসপিটালের সিওও ডাঃ ভারবি চট্টোপধ্যায় এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের উপ পরিচালক (অব) জনাব ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ ।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহাসিকগণ প্রতিনিয়ত ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গবেষণা করছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোর ভিতর এক ব্যতিক্রমী ভাষণ হল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, যা ছিল সম্পূর্ণ অলিখিত। সেদিন তিনি যখন স্টেজে উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন, মনে হলো তিনি যেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যটি রচনা করছেন। ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর অমর রচনা, বাঙালির শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, যেটি বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার লালিত স্বপ্ন থেকে রচিত। যুগে যুগে সব সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষকে উৎসাহ-উদ্দীপনা আর অনুপ্রেরণা জোগাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডাক দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
এরপর সকাল ১১:৩৫ ঘটিকায় ত্রিপুরার স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত দর্শকদের নজর কাড়ে। অনুষ্ঠান শেষে ১২:০০ ঘটিকায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের সন্মানে আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত হন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।আরশিকথা হাইলাইটস
৭ই মার্চ, ২০২৩