প্রকাশিত হল ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪৮ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবছর মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.০২ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩.২৪ শতাংশ।
সোমবার পর্ষদ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা ফলাফল ঘোষণা করেন। এবছর মাধ্যমিকে জেলা ভিত্তিক হিসেবে সবচাইতে বেশি পাশের হার গোমতী জেলায়, ৯২.৩০ শতাংশ। সবচাইতে কম ধলাইতে, ৮১.৪৫ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিকে সবচাইতে বেশি পাশের হার সিপাহীজলা জেলায়।পাশের হার ৮৮.৬০ শতাংশ। সবচাইতে কম পাশ করেছে ধলাইতে ৬৯.৯৬ শতাংশ। এবছর পর্ষদ মহকুমা ভিত্তিক পাশের হারও প্রকাশ করেছে। দেখা গিয়েছে আশ্চর্যজনকভাবে দুইটি পিছিয়ে পড়া মহকুমার ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করেছে। সদর, উদয়পু্র, বিলোনিয়া, ধর্মনগর, কৈলাশহর এর মতো বিভিন্ন মহকুমা গুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে করবুক ও জম্পুইজলা মহাকুমা। মাধ্যমিকে করবুক মহকুমায় পাশের হার ৯৭.৪০ শতাংশ। জম্পুইজলায় ৯৫.০৬ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিকে করবুক মহকুমায় পাশের হার ৯৫.৬২ শতাংশ। জম্পুইজলায় ৯৪.০৫ শতাংশ। একসময় যে সমস্ত মহকুমা গুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল পরিকাঠামো ছিল এখন সেই মহকুমা গুলোও পড়াশোনায় এগিয়ে এসেছে। উচ্চমাধ্যমিকে সবচাইতে কম পাশের হার ৭১.৬৬ শতাংশ আমবাসা মহকুমায়। মাধ্যমিকে সবচাইতে কম পাশের হার পানিসাগর মহকুমায় ৭৪.৩৩ শতাংশ। পর্ষদ সভাপতি জানান এবছর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে হয়েছে। ২ মে থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছিল।মাদ্রাসা আলিম ও মাদ্রাসা ফাজিল পরীক্ষার ফলাফলও এদিন প্রকাশ করা হয়েছে। এখন আর সেরা দশজনের নাম পৃথকভাবে ঘোষণা করা হয় না।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৫ই জুন, ২০২৩