বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নগদ টাকা ছাড়া পুলিশ কেসের নথি নড়ে না। হাসপাতাল স্টাফদের কাছে খোদ পুলিশ সদস্যরাও জিম্মি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না দিলে চিকিৎসাপত্রের রিপোর্টই গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
মূলত মারামারি হামলা-পাল্টা হামলার ক্ষেত্রে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন তাদের পুলিশ কেস হলে বেশকিছু ডাক্তারি নথি প্রয়োজন হয়। সেগুলো রাখা হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ১৫৬ নম্বর রুমে। কিন্তু বছরের পর বছর এই রুম থেকে গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালেরই একটি মহল এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি টাকার বিনিময়ে গায়েব করেন
সবশেষ গত ৮ আগস্ট এমসি রুম থেকে বিভিন্ন মামলার আলামতের বিপুল সংখ্যক নথি একসঙ্গে গায়েব হয়। রাতের অন্ধকারে কক্ষটির জানালার লক খুলে কাগজপত্র চুরি হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ না দিলে চিকিৎসা সনদ পাওয়া যায় না। অনেক সময় আবার আসামি পক্ষের হয়ে হাসপাতাল কর্মচারীরা চিকিৎসা ফাইলই গায়েব করেন। বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের স্টাফদের কাছে জিম্মি হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পুলিশকেও।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান জানান, এই দফতরে যাকেই দায়িত্ব দেয়া হয় তারাই ঘুষ লেনদেনে জড়ায়। কয়েকজনকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সবশেষ নথি চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নথি চুরিতে বারবার নাম উঠে আসছে এমসি শাখা থেকে বরখাস্ত হওয়া সোহাগ ও তার সহযোগী আমিনুলের নাম। যদিও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
ছবি ও তথ্যঃঃ সংগৃহীত
২০ আগস্ট ২০২৩