এক্ষেত্রে শিশু চরম তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসায় অথবা বমি ও ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। দিনের বেলায় ঘাম, প্রস্রাব, মল এবং অশ্রুর মাধ্যমেও শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরল ও লবণ শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি বের হয়।
যদি এ সময় আপনার শিশু অসুস্থ থাকে এবং জ্বর, ডায়রিয়া বা বমি হয় তবে এটি ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। আবার যখন কোনো শিশু বেরিয়ে যাওয়া তরলের পরিবর্তে পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করে না; তখন জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি হয়, বিশেষত যখন তারা ভাইরাস বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত হন। ডিহাইড্রেশন পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে, তাই শিশুর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
শিশুদের ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ-
গাঢ় দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
ঘুম ঘুম ভাব
৬-৭ ঘণ্টা প্রস্রাব না করা
শুকনো ঠোঁট এবং একটি খসখসে মুখ
তৃষ্ণার্ত থাকা
কাঁদলেও চোখ,মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘুরতে পারে
মারাত্মক ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ-
শুকনো চোখ
অতিরিক্ত রাগ
অতিরিক্ত ঘুম
শিশুর মাথায় নরম দাগ
ঠান্ডা এবং ছাপযুক্ত হাত ও পা
শিশুর ডিহাইড্রেশনের কারণ-
গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো পেটের ভাইরাসে শিশুর শরীর তরল হারায়। যা ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মাধ্যমে ঘটে। এতে শিশু দ্রুত ডিহাইড্রাইড্রেশনের ক্ষতি হয়।
জলশূন্যতার অন্যতম সাধারণ কারণ হরো জ্বর। এর সঙ্গে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আরও তরল বেরিয়ে যেতে পারে।
শিশুকে ভারি পোশাক পরিয়ে বদ্ধ ঘরে রাখা হলে, জলশূন্যতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
ডিহাইড্রেটেড শিশুর চিকিৎসায় যা করবেন-
ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন হলো ডিহাইড্রেশনের জন্য শিশুর আদর্শ পানীয়। যা ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পরপর শিশুকে খাওয়াতে হবে।
অতিরিক্ত গরম লেগে যেন শিশুর ঘাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
আরশিকথা স্বাস্থ্য কথা
ছবি ও তথ্যঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৯শে আগস্ট ২০২৩