প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সবসময়ই থাকে, থাকবে। সেটাকে তিনি ভয় পান না। উপরে আল্লাহ, নিচে জনগণ ও দলের লোক। দেশের মানুষের ওপরই তার পূর্ণ আস্থা আছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেনেড-গুলি-বোমা সব পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ একটা মানুষকে চান্স দেন। যতক্ষণ তার সেই কাজ শেষ না হয় ততোক্ষণ আল্লাহই রক্ষা করেন।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করাই লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা এবং যুদ্ধ না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব এমপি নিজের এলাকায় যান। কিন্তু আমাকে দেখতে হয় পুরো ৩০০ আসন। তবে মজার বিষয় হলো, টুঙ্গিপাড়াবাসীই আমাকে দেখে রাখেন।এসময় তার সাফল্যের পেছনে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমি যতটুকু সাফল্য অর্জন করেছি তাতে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অনেক অবদান। এই মানুষগুলো আমাকে দেখে, আমাকে দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য আমি সারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।’
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসেবে বিশেষ ট্রেনে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গায় যান।
ট্রেন মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছার পর ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিকেলে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া যান তিনি। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সন্তান লীলা, কাইয়ূস ও তাইকা সঙ্গে ছিল।পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত
১১ই অক্টোবর ২০২৩