রাজ্যের মহিলা ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ত্রিপুরা মহিলা ক্রিকেটে খেলোয়ার কোচ ম্যানেজার ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনেকদিন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।বলাবাহুল্য এক দেড় যুগ ধরে পুরনো সিস্টেমেই চলছে মহিলা ক্রিকেট। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে কানাঘুষো চলছে।
নতুন অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকলেও কেন তাদেরকে তুলে আনা হচ্ছে না এবং মহিলা ক্রিকেটের হাল-হকিকত ফেরানো হচ্ছে না তা রহস্যজনক। জানা গেছে ত্রিপুরা মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে স্বচ্ছতা অভাবের অভিযোগ এনে অনেক খেলোয়ার মাঝপথে খেলাও ছেড়ে দিচ্ছে। এতে অভিভাবকরাও হতাশ। বর্তমানে ত্রিপুরা মহিলা ক্রিকেটে কোচ এবং ম্যানেজার হিসেবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা বহু বছর ধরে দায়িত্বে থাকা সত্বেও ত্রিপুরা মহিলা ক্রিকেটের তেমন সাফল্য নজরে আসছে না।সারা রাজ্য থেকে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের মহিলা ক্রিকেটে যোগ দেওয়া অনেক মেয়েই ক্রিকেট খেলতে চায়। তাদের সুপ্ত স্বপ্ন পূরণ করতে চায়, কেননা জাতীয় স্তরে মহিলাদের ক্রিকেট খেলার গুরুত্ব ইদানিংকালে বেড়েছে এবং সে ক্ষেত্রে আলাদা একটা উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলোয়াড়দের স্বপ্ন পূরণে নানা বাধা আসছে বলে জানা যায়। জানা গেছে আন্ডার ১৯ এ গত চার বছর ধরে খেলার সুযোগ পাবার দাবিদার অনেক প্রতিভাবান মহিলা খেলোয়াড়। তাদের ব্যক্তিগত স্কোরের ভালো রেকর্ড রয়েছে । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে এইসব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না বড় বড় ইভেন্টে।
যথেষ্ট প্রতিভা এবং দক্ষতা থাকলেও কেন তারা সুযোগ পাচ্ছেন না তা জানা নেই কারোরই।যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে মহিলা ক্রিকেট খেলাকে নারী ক্ষমতায়নের অঙ্গ হিসাবে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য রাজ্যগুলি যেখানে এক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে সে জায়গায় ব্যতিক্রম ত্রিপুরা।এইক্ষেত্রে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২১শে অক্টোবর, ২০২৩