আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে বাসস্থান পেয়েছেন ৪২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে ২১টি জেলার ৩৩৪টি উপজেলা। ১৫ বছরে নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১০০ গুণ। আবার ক্ষমতায় এলে গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শিল্প ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরের পাশাপাশি ২০২৮ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে, ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের অবসান এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দলটির।
মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গৃহহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৬২৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেয়া হয়েছে, যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। ফলে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হয়েছে ২১টি জেলার মোট ৩৩৪টি উপজেলা।
২০০৬ সালে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার জন বয়স্ক ভাতা পেতেন, যা ২০২৩ সালে ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮ লাখ ১ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতাপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা ২০০৬ সালে ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার জন, যা ২০২৩ সালে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৬ লাখ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০০৬ সালে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেন ৯৭ হাজার জন, যা ২৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ২৯ লাখ ১৫ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রম ভিজিডি, ভিজিএফ, ভিডব্লিউবি, টিআর, জিআর, কাবিখা, কাবিটা, ইজিপিপি এবং ওএমএস-এর আওতায় ১১৪টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৬ জন। ২০০৬ সালে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার জন, যা বর্তমানে ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তথ্য ও ছবিঃ সংগৃহীত
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪