ভ্রমর একদিন বললো, গোবর পোকাকে,...
"তুমি কি পাও?
দুর্গন্ধ, পচা, গোবরের মধ্যে থেকে?।।
আমার সাথে যদি তোমার, যেতে মন চায়?
সুগন্ধি ফুলের মধু, খাওয়াবো তোমায়"।।
রাজি হলো গোবর পোকা, ভ্রমরের কথায়।
তার সাথে মধু খেতে--
ফুলের বাগানে চলে যায়।।
মধু খেতে শুরু করলো, দুই বন্ধু মিলে।
এক ফুল থেকে, অন্য ফুলে।।
গোবর পোকা ভীষণ খুশি এবার।
ফুলের মধু খেয়ে আনন্দে,--
মন ভরে গেল তার।
বেশি বেশি করে মধু খেয়ে--
পোকার নেশা হয়ে গেলো।
নিজের অজান্তে, ফুলের ভিতরে--
ঘুমিয়ে পড়লো সে--
ক্রমশ, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো যে।।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায়---
প্রাকৃতিক নিয়মে দেখা যায়,
ফুলের পাপড়ি প্রায়, বন্ধ হয়ে যায়।
গোবর পোকাটি,
সেই ফুলের মাঝেই, থেকে যায়।।
পরদিন সকালে,
এক ভক্ত, ফুলের কাছে এলো।
এবং সে, ফুলটিকে তুলে নিয়ে গেলো।।
ফুলটিকে চন্দন চর্চিত করে--
রাখলেন, ভগবানের চরণের ওপরে।।
ফুলটি প্রস্ফুটিত হলো, কিছু সময়ের পরে।।
গোবর পোকাটি ভয়ে ভয়ে--
দেখলো তাকিয়ে।
এ আমি, কোথায় এলাম কে জানে?
আমি তো রয়েছি, ভগবানের শ্রীচরণে।।
আমি এক গোবর পোকা--
যে, অপ্রয়োজনীয় সব কাজে।
সেই আমি এলাম কিনা, জগৎ স্বামীর মাঝে?
আজ যদি, ভ্রমরের সঙ্গ না ধরতাম?
তাহলে কি--ভগবানের---
চরণ, স্পর্শ করতে পারতাম?
মহাজনেরা বলেছেন সর্বদাই--
সৎ সঙ্গে, জীবনের যত সুখ তাই।।
সাধু সঙ্গের জন্য---
গোবর পোকার, জীবন হলো ধন্য।।
অসৎ সঙ্গ, পথ দেখায় নিচের দিকে নামবার।
অসৎ সঙ্গের ফলে, জীবনে আপনার---
ভয়ঙ্কর বিপদ, নেমে আসতে পারে বারবার।
তাই অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করুন---
এই, অনুরোধ রইল আমার।।
- স্বপন তালুকদার
বারাসাত, কোলকাতা