দুই ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা পিতার মৃত্যুবার্ষিকী। বিগত ২৬ বছর আগে এই দিনেই গত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার পিতৃদেব মাখনলাল সাহা। পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে গত ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে এমএল প্লাজায় আয়োজিত হচ্ছে রক্তদান শিবির। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হলো না। এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই হল এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার পিতা স্বর্গীয় মাখনলাল সাহার ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে দশম তম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আগরতলা এমএল প্লাজায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বর্গীয় মাখন লাল সাহার পুত্র ডক্টর মানিক সাহা। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বর্গীয় মাখন লাল সাহার স্ত্রী সূর্যবালা সাহা, মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর তুষার কান্তি ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। পিতৃ বন্দনার এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য বলেন, বর্তমান সরকার সর্বদা সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টায় গোটা দেশ এবং রাজ্যেও সমাজ পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। রাজ্যের মানুষ অশান্তিতে থাকতে চায় না। মানুষ চায় ভালো কাজ করতে। মানুষ চায় সুখ ও শান্তিতে থাকতে। রাজ্য সরকার এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে। জাতি জনজাতি সকলে নিয়ে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে চলতে চায় বর্তমান রাজ্য সরকার। রক্তদানের বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রক্তদানের উপর আর কোন দান নেই। এক ইউনিট রক্ত দিয়ে চার জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার ফলে এইটা সম্ভব হয়েছে।
শুক্রবার এমএল প্লাজায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য অতিথিরা রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহ দেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪


