নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কোন রাজ্য প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই বিচারকের ভূমিকায় বসে অভিযুক্তর বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগেই বেসরকারি ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। বুলডোজার দিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গে বুধবার একথাই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গেই শীর্ষ আদালত বেআইনি ও দখলীকৃত নির্মাণ ধ্বংসের ক্ষেত্রে গাইডলাইন বেঁধে দিল। জানিয়ে দিল, তা করতে হবে ১৫ দিনের নোটিশে। করতে হবে ভিডিও রেকর্ডিং। শুধুমাত্র বেআইনি নির্মাণগুলিকে ভেঙে ফেলা যাবে। আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোনও নির্মাণ ভাঙা যাবে না। নোটিশটি স্পষ্টভাবে নির্মাণের কাছেই প্রদর্শিত করতে হবে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই বলেন, “সরকার বা প্রশাসন কখনও বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা নিতে পারে না। প্রশাসন কখনই একজন ব্যক্তিকে দোষী ঘোষণা করতে পারে না। যদি শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে কারও বাড়ি ভাঙ্গা হয়, তাহলে আইনের শাসন প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। প্রশাসন কখনই বিচারকের ভূমিকা নিয়ে একজন অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।”বুলডোজার জাস্টিসকে কার্যত তুলোধনা করে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী বাসস্থানের অধিকারও মৌলিক অধিকার। যে সরকারি আধিকারিকরা আইন নিজের হাতে নিয়ে এধরনের কাজ করছে তাদের আইনের কাঠগড়ায় আনতে হবে।”কোনও অপরাধী বা অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার যুক্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলে, “যে প্রশ্নটি বিবেচনা করা উচিত, তা হল যদি কোনও পরিবারের একজন মানুষ অপরাধ করে, তাহলে সেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা, যারা অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়, তাদের বাসস্থান শুধুমাত্র একজনের জন্য প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি? সংবিধান কখনওই এ বিষয়ে মান্যতা দেয় না। রাতের অন্ধকারে মহিলা শিশুদের বাড়ি থেকে টেনে বের করে দেওয়া হচ্ছে এই দৃশ্য কখনই কাম্য নয়।”
AKB TV News
13.11.2024