নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সন্দেহের কারনে অকালে প্রান গেল এক শিক্ষিকার।মৃতার নাম হৈমন্তী সিংহ। কলমক্ষেত হাই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মণ। তিনি বন নারায়ণ এইচ এস স্কুলে কর্মরত। আজ থেকে ১৪ বছর আগে তাদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমান। বিয়ের পর কয়েক বছর ভালই ছিল তাদের সম্পর্ক। কিন্তু এরপর স্ত্রী'কে সন্দেহ করার কারনে ধীরে ধীরে তাদের সংসারে শুরু হয় আশান্তি। মৃণাল কান্তি বর্মণ প্রায় সময়ই তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত। বাজে ভাষায় সবসময়ই স্ত্রীকে গালিগালাজ করতেন। এমনকি স্ত্রীর হাতে রান্না করা খাবার পর্যন্ত খেতেন না তিনি। নিজের মায়ের রান্না খেতেন। শুক্রবার ভোর রাতে এই অশান্তি চরম রূপ ধারণ করে। ভোর রাতে বাইরে মা- বাবার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাদের মেয়ে মহেশ্বেতা ঘর থেকে ছাদের উপর গিয়ে দেখতে পায় যে মায়ের গায়ে আগুন। মায়ের শরীর পুড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে সে ঘর থেকে গিয়ে একটি কাপড় এনে মায়ের গায়ে জড়িয়ে দেয়। এরপর বাবা একটি অটোতে করে মা'কে মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে জিবি হাসপাতালে মা'কে রেফার করা হলে রাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানায় মৃতার মেয়ে। এই ভাবেই ঘটনার স্বীকারোক্তি দিল ছোট্ট মহেশ্বেতা।বাবার হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মা হারানো ছোট্ট মহেশ্বেতার এখন একটাই কথা, জাস্টিস চাই।
AKB TV News
21.12.2024