Type Here to Get Search Results !

১০ বছর উদযাপনে আরশিকথার প্রথম আয়োজন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, আরশিকথাঃ


৫ই জানুয়ারি,রবিবার আগরতলার অনতিদূরে সেকেরকোটের কাছাকাছি কাঞ্চনমালা চা বাগানের চা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ সহ যৎসামান্য খাবারের আয়োজন করে দেশবিদেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল তথা বহুমাত্রিক সংবাদ মাধ্যম আরশিকথা। পুরুষ,মহিলা ও শিশু মিলে মোট ৮৫ জনকে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ওষুধ বিলি করা হয়। ৬০ জন শিশুর হাতে খাবারের প্যাকেট দুধ ফল ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও কয়েকজন শ্রমিক মাকে নতুন বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়। 









ইংরেজি ২০২৫ সাল দেশবিদেশের জনপ্রিয় বহুমাত্রিক সংবাদ মাধ্যম আরশিকথার ১০ বছর উদযাপনের বছর। গোটা বছরেই থাকবে নানা কর্মসূচি। এরই অঙ্গ হিসেবে ৫ জানুয়ারি রবিবার সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতাধীন কাঞ্চনমালার মালাবতী চা বাগানের শ্রমিক পরিবারদের যুক্ত করে বিনামূল্যে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। আরশিকথার প্রবাসী অভিভাবক রবিরশ্মি ঘোষ এর পরিকল্পনাকে মর্যাদা দিয়ে খুব সুন্দরভাবেই উপস্থিত আরশিকথার সম্মানিত উপদেষ্টা এবং সদস্যগণ এই কর্মসূচিটিকে সফল করে তোলেন। এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারী এবং সদস্য সদস্যাগণ। এদিন কমলাসাগর মণ্ডল মালাবতি চা বাগান সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে উপস্থিত ছিলেন উপপ্রধান গোপাল লস্কর, বুথ প্রেসিডেন্ট রাখাল বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য দীপ্তি দে, স্বজন সরকার, সবিতা দাস, আরতি দাস, ননীগোপাল দাস এবং শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ নারায়ণ দাস প্রমুখ। 



ঐদিন সকাল ১১টা নাগাদ আরশিকথার ১৫ সদস্যের একটি টিম কাঞ্চনমালা চা বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 



মোটামুটি বেলা বারোটা থেকে রাজ্যের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. শ্যামোৎপল বিশ্বাস মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল ক্যাম্প চালু হয়ে যায়।  উপস্থিত জনগণের মধ্যে পরিচয় ও অনুষ্ঠানের উপযোগিতা সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন  আরশিকথা পরিবারের অন্যতম অভিভাবক তথা বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা সসীম আচার্য মহোদয়। আরশিকথার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা পরিচালক শান্তনু শর্মা নিজ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেকেরকোট পঞ্চায়েতের সদস্যদের অর্থাৎ যারা এর ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব রাজা নাগ ও তার সহধর্মিনী তথা জনপ্রিয় শেফ বাবলি নাগ মৈত্র, বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. আশিস কুমার বৈদ্য, রাজ্যের বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও কবি মৌসুমী কর ও তার কন্যা স্টেলা কর, রাজ্যের খ্যাতনামা জ্যোতিষবিদ অধ্যাপক ড. পান্না সাহা এবং শিক্ষক যতন রায়। ছিলেন পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা রূপ বিশেষজ্ঞ ও শিল্পী সুস্মিতা চ্যাটার্জি, কবি চন্দ্রা মজুমদার ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাবুল মজুমদার, ছিলেন পরিবারের অন্যতম শুভাকাঙ্খী রবি ভৌমিক পরিবার সহ আরও অনেকে। প্রত্যেকেই নিজের আনা উপহার সামগ্রি তুলে দেন সাধারণ জনগণের মধ্যে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত সদস্য স্বজন সরকারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত শৃঙ্খলিত ভাবে অনুষ্ঠানটি হয়।


উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যেই ছিল একটা খুশির আমেজ, যেন একটা উৎসবের আনন্দ। এভাবে করে ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকে ও প্রায় চারটার সময় এই কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটে। উপস্থিত থাকা কোন ব্যক্তিই বাদ যায়নি এটা একটা চূড়ান্ত সাফল্যের খবর। অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে পরিচালিত হওয়াতে প্রত্যেককেই আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্থার পরিচালক শ্রী শর্মা। সদস্যরাও বছরের শুরুতেই সেবামূলক কাজের এমন একটি সুযোগ পাওয়াতে নিজেদের গর্বিত প্রাণিত অনুভব করেন ও প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এভাবেই আরো আগামী অনেক প্রাণের অনুষ্ঠানের আশা নিয়ে শেষ হয় কাঞ্চনমালা সফর।


আরশিকথা হাইলাইটস

৬ই জানুয়ারি ২০২৫

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.