দুর্গাপুজো আসতে আর মাএ তিন দিন বাকি। সারা সহর আলোয় ঝলমল করছে, আর তিতলি মনেও আনন্দের হাওয়া। প্রতিবার পুজোর আগে মায়ের সঙ্গে মার্কেটিং করা তার প্রিয় কাজ। কিন্তু এবছর অদ্ভুত ঘটনা তার মনকে অস্থির করে তুলেছে। সেদিন সকালে তিতলির বাবা বাজির থেকে ফিরে এলেন একখানা চিঠি হাতে নিয়ে। চিঠিটা কে পাঠিয়েছে, সেটা নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে চাপা আলোচনা চলছিল। তিতলির কৌতূহল চরমে পৌঁছালো। বাবা শেষে বলেন,"তিতলি,এটা তোর নামে কিন্তু ঠিকানাটা ভুল।" তিতলি চিঠিটা খুলে দেখল। ভেতরের কাগজে একটি ছোট্ট টুকরো। সেখানে লেখা,"জগন্নাথ মাঠের কাছে রাত আটটায় দেখা কর। সত্যিটা জানা দরকার।" চিঠি সে অবাক হয়ে গেল।কে পাঠিয়েছে এটা? সত্যিটা কী? তিতলির মাকে বলল।"মা, আমি একবার যেতে চাই। দেখব,এটা কী ব্যাপার।" মা প্রথমে বাধা দিলেও শেষে রাজি হলেন।
সেদিন রাত আটটায়,তিতলি জগন্নাথ ঘাটে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একটি বয়স্ক মহিলা সামনে এলেন। তিতলি ভয় পেয়ে বলল," আপনি কে?" মহিলাটি বলল," তুই তিতলি, তাই তো?" তিতলি মাথা নেড়ে সম্মতি দিল। মহিলা বলল,"তোর মা আমাকে পাঠিয়েছে। আমি তোর নানী।" তিতলি বিস্ময়ে বলল," কী! কিন্তু নানী তো অনেক আগেই...।"
মহিলা একটুকু হাসলেন।" তোর মায়ের ভুল বোঝাবুঝি কারনে আমিতোর জীবন থেকে দূরে সরে গেছিলাম। এবার আমার ভুলটা ঠিক করতে চাই। এবার অন্তত আমাকে ক্ষমা করুক।"
তিতলি বুঝতে পারল,' চিঠির রহস্যটা পারিবারিক ভুল বোঝাঝুঝি সমাধান। ' সে বলল," নানী, আমি মাকে জানাব। এবার আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব "।
পরের দিন মা-নানীর দেখা হল। ভুল বোঝাবুঝির দেয়াল ভেঙ্গে গেল। দুর্গাপুজো এবার সত্যিই পূর্ণতা পেল।
- শ্রেষ্ঠশ্রী রায়
অষ্টম শ্রেণি
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
আরশিকথা সাহিত্য
২৫ মে, ২০২৫