গত ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পরদিন ভুল করে পাক ভুখণ্ডে ঢুকে পড়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। এরপর টানা ২২ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াই। দুই দেশের দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে বুধবার সকালে পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পান পূর্ণম। তারপর নিয়ম মেনে হয়েছে শারীরিক পরীক্ষা। দফায় দফায় বিএসএফ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, আটক করার পর থেকেই অধিকাংশ সময়ই চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল পূর্ণমের। তবে মোট তিন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যে ছিল এয়ারবেসও। এয়ার ক্রাফ্টের শব্দ শুনে পূর্ণমের এমনটাই অনুমান। তাকে রাখা হয়েছিল গারদেও। শারীরিক অত্যাচার না করলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে পূর্ণমকে । টানা ২২ দিন এক করতে দেওয়া হয়নি চোখের পাতা। সেই সঙ্গে চলে অকথ্য গালিগালাজ। জানা গিয়েছে, বিএসএফের একাধিক গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টাও করেছিল পাক সেনা। সীমান্তে কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত খবর জানার চেষ্টা চলেছে। একাধিক অফিসারদের ব্যক্তিগত তথ্য ও নম্বরও আদায়ের চেষ্টা করেছে পাক সেনা, এমনটাই খবর। তবে পূর্ণমের কাছে ফোন না থাকায় বিশেষ কোন সুবিধা করতে পারেনি তাঁরা।
Akb tv news
15.05.2025