নিজস্ব প্রতিনিধি,
চড়িলাম ব্লকের অধীন চেছুড়িমাইল গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত থালা ভাঙ্গা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। গত দুই বছর ধরে দিদিমণি ছাড়াই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।দিদিমণি শ্রাবণী চক্রবর্তী দুই বছর হয়েছে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। এই দুই বছর ধরে দিদিমণি নিয়োগ হচ্ছে না এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। যার ফলে একা হাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন সহায়িকা পায়েল দাস। তিনি একদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করছেন। আবার ছোট ছোট শিশুদের বাড়ি থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন। শিশুদেরকে পড়াচ্ছেন। আবার অনেক ছোট ছোট শিশুকে পড়া শেষে কোলে করে বাড়িতেও দিয়ে আসছেন। আবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করার জন্য প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে পানীয় জলও আনছেন। এর কারণ প্রায় সময়ই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পানীয় জল থাকে না। একা হাতে সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন সহায়িকা পায়েল দাস। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় ৩৫ জন শিশু। তবে মঙ্গলবার সকালে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সব শিশু আসেনি। এদিন সংবাদ মাধ্যমের লোকেরা সহায়িকার কাছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি একা সমস্ত কাজ আর সামলাতে পারছি না।বিষয়টি পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি, এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বদেরকে জানিয়েছি। কিন্তু এরপরও দিদিমনি নিয়োগ হচ্ছে না। এদিন সকালে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে দেখা যায় সহায়িকা পায়েল দাসকে।
Akb tv news
03.06.2025