নিজস্ব প্রতিনিধি:
সুপ্রিম কোর্টের নয়া পর্যবেক্ষণ। কোনও ‘উত্তরাধিকারী’
না থাকলে বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের সম্পত্তির ভাগ পাবেন তাঁর স্বামীর উত্তরাধিকারীরা।
মহিলার বাবার বাড়ির তরফে কেউ ওই সম্পত্তি দাবি
করতে পারবেন না। কারণ বিবাহের সময়ই হিন্দু মহিলাদের ‘গোত্র’ বদলে যায়। এক সম্পত্তি
মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট।১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকারী
আইন অনুযায়ী, কোনও হিন্দু মহিলা যদি স্বামী-সন্তানহীন অবস্থায় মারা যান।তাঁর কোনও উইল
বা ইচ্ছাপত্র না থাকে, তাহলে তাঁর সম্পত্তি চলে যায় স্বামীর উত্তরাধিকারীদের কাছে।
ওই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই
ওই ‘গোত্র’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি নাগরত্ন। শীর্ষ আদালত সাফ বলছে, বিয়ের পর
মেয়েদের দায়িত্ব পুরোটাই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির। ফলে তাঁর সম্পত্তিতে অধিকারও শ্বশুরবাড়ির।বিচারপতি
নাগরত্ন বলছেন, “হিন্দু মেয়েদের বিয়ের সময় নাম বদলে যায়, গোত্র বদলে যায়। আমাদের ভালো
লাগুক আর নাই লাগুক। কন্যাদানের সময়ই গোত্র বদলে যায়। দক্ষিণ ভারতের বহু জায়গায় সেটা
বিয়ের সময় আলাদা ভাবে উদযাপনও করা হয়।” ওই গোত্র বদলের সঙ্গে সঙ্গেই মহিলাদের যাবতীয়
দায়-দায়িত্ব চলে যায় শ্বশুরবাড়ির উপর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সম্পত্তিও শ্বশুরবাড়িরই
পাওয়া উচিত।
akb tv news
25.09.2025

