ভবনস্ বরাবরই শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার সৃজনশীল চিন্তার উদ্ভাবনে এই বিদ্যালয় নজির সৃষ্টি করল। ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় হলেও প্রচুর শিক্ষার্থী ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ও হিন্দি ভাষাতেও লেখালেখি করে। তাদের উৎসাহিত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের শিক্ষার্থীদের লেখালেখি নিয়ে এবার প্রকাশিত হল সংকলন গ্রন্থ ‘চিন্তন’। বইটির প্রকাশ উপলক্ষে বুধবার নরসিংগড় ক্যাম্পাসের হলে আয়োজিত হয় এক দিবসীয় সাহিত্য বিষয়ক কর্মশালা।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহারাজা বীরবিক্রম কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বর্ণালী ভৌমিক ঘোষ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. নির্মল দাশ, বিশিষ্ট লেখক ও ঔপন্যাসিক শ্যামল বৈদ্য, বিশিষ্ট প্রকাশক অঞ্জন কুমার পাল, ত্রিপুরা সরকারি আইন কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপিকা ড. পাপাই পাল, আগরতলা স্থিত মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. অনুরাধা দেববর্মা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদ্যাভবন আগরতলা কেন্দ্রে মাননীয় চেয়ারম্যান দেবাশীষ চক্রবর্তী। অতিথিরা সকলেই তাদের বক্তব্যে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা, সার্বিক সফলতা ও লেখালেখিতে শিক্ষার্থীদের এই অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা স্বপ্না সোম সকলকে স্বাগত জানিয়ে তার বক্তব্যে এমন উদ্যোগের উচ্চ প্রশংসা করেন, পাশাপাশি ধারাবাহিক এই প্রয়াস বজায় রাখার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী সৌম্যদীপ দেব তার বক্তব্যে ভবনসে শিক্ষার্থীদের লেখালেখির সূচনা ও ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে এই বছরই প্রথম দশজন শ্রেষ্ঠ লেখক শিক্ষার্থীকে ‘বেস্ট ভবনস্ রাইটার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ তুলে দেওয়া হয়। ভারতীয় বিদ্যাভবন আগরতলা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান দেবাশীষ চক্রবর্তী তার বক্তব্যে লেখালেখির গুরুত্ব, এর সামাজিক তাৎপর্য ও শিক্ষার্থীর বিকাশে সৃজনশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি প্রশ্নোওর পর্বটিও ছিল যথেষ্ট আশাপ্রদ। উদ্বোধনী পর্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থিত সকলকে আনন্দিত করে। শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে একদিনের কর্মশালার সমাপ্তি হয়।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২২শে অক্টোবর ২০২৫

.jpeg)


