নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার
রাতে বিলোনিয়ায় কালীমূর্তি বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে দফায় দফায়
সংঘর্ষে ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিলোনিয়া থানার ওসি শিবুরঞ্জন দে। তিনি
অন্যান্য পুলিশ কর্মীর নেতৃত্বে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওরিয়েন্টাল
ক্লাবের কিছু সদস্য ওসি’কে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর ফেলেন এবং
শারীরিকভাবে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা
ছড়িয়েছে। শনিবার ওই ঘটনার সাথে জড়িত
সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন আদালত থেকে তাদের জামিনের আবেদন মুঞ্জর করা
হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,বিলোনিয়ার ওরিয়েন্টাল ক্লাব তাদের কালীমূর্তিকে
কেন্দ্র করে প্রসেশন বের করে। প্রসেশনটি ক্লাবের সামনে পৌঁছালে তারা রাস্তার মধ্যে
গান-বাজনা, নাচ-গান এবং নানা অনুষ্ঠান শুরু করে। ঠিক তখনই এক নং টিলা ব্যবসায়ী
সমিতি তাদের মায়ের মূর্তিকে নিয়ে প্রসেশন শুরু করে। ওরিয়েন্টাল ক্লাবের
অনুষ্ঠান চলার কারণে ১ নং টিলা ব্যবসায়ী সমিতির মিছিলকে রাস্তা দিয়ে যাওয়া
সম্ভব হয়নি। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় এবং তা দ্রুত মারামারিতে
পরিণত হয়।তখন বিলোনিয়া থানার ওসি শিবুরঞ্জন দে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছু পুলিশ
কর্মীর নেতৃত্বে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওসি সাউন্ড
সিস্টেম বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তবে এর পরই ওরিয়েন্টাল ক্লাবের কিছু সদস্য ওসিকে
গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর ফেলেন এবং শারীরিকভাবে মারধর শুরু করেন।ওই
ঘটনায় ওসি শিবুরঞ্জন দে এই হামলায় আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে এসডিপিও বিলোনিয়া এবং
অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। শনিবার
ওই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে আছেন ওরিয়েন্টাল ক্লাবের
সম্পাদক অলক বণিক, পূজা কমিটির সম্পাদক বিজয় বিশ্বাস, পূজা কমিটির সভাপতি শ্রীবাস
সেন, ক্লাব সদস্য সুব্রত দেবনাথ, লিটন দেবনাথ, আদিত্য দত্ত এবং লিটন হাজারি।
akb tv news
25.10.2025

