এইসময়ে ত্রিপুরায় বিদ্যালয়স্তরে সর্ববৃহৎ অলিম্পিয়াড হল ভবনস্ অলিম্পিয়াড। এবছর ৩ রা আগস্ট অনুষ্ঠিত ভবনস্ অলিম্পিয়াড পরীক্ষায় ৪৭ টি স্কুল থেকে প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ভবনস্ অলিম্পিয়াড এই বছর একাদশতম বর্ষে পদার্পণ করল। ভবনস্ বরাবর বিশ্বাস করে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ ও ভবিষ্যতের উপযোগী শিক্ষাদানে। আর ভবনস্ অলিম্পিয়াড সেই দূরদর্শিতারই ফসল।
মঙ্গলবার ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের নরসিংগড় ক্যাম্পাসের মহারাজা বীরবীক্রম অডিটোরিয়ামে সাড়ম্বরে আয়োজিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিভাস দেব। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আগত অধ্যক্ষ-অধ্যক্ষাগণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষা স্বপ্না সোম সকলকে স্বাগত জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে ভবনস্ অলিম্পিয়াডের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য ও বিস্তৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। পাশাপাশি আগামী দিনে রাজ্যের সব-কটি জেলায় ভবনস্ অলিম্পিয়াড করার পরিকল্পনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। উপাচার্য বিভাস দেব তাঁর বক্তব্যে ভবনস্ এর সার্বিক সাফল্যের পাশাপাশি অলিম্পিয়াডের মতো এমন বিষয় নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি ভবনস্ অলিম্পিয়াডকে জ্ঞানের উৎসব বলে অবিহিত করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সকলের মন মাতিয়ে দেয়। ভবনস্ অলিম্পিয়াডে গোল্ড, ব্রোঞ্জ ও সিলভার মেডেল দেওয়া হয়, পাশাপাশি রয়েছে আর্থিক পুরস্কার সহ আরো বিভিন্ন পুরস্কার। এদিন স্বর্ণপদক বিজয়ীদের হাতে ম্যাডেল তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা। এছাড়াও ভারতীয় বিদ্যাভবন আগরতলা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন আইএফএস দেবাশীষ চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে ভবনস্ অলিম্পিয়াডের স্থানিক তাৎপর্য, ব্যপ্তি ও জনমনে এর গ্রহণযোগ্যতার কথা তুলে ধরেন। এদিনের এই আয়োজনে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিপুল উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি সফল করে তুলেছে। শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২৮শে অক্টোবর ২০২৫


