তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
রাজন্য আমলের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে এবার হানা দিলো চোরের দল। দুঃসাহসিক এই চুরি কাণ্ডের পর নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যায় চোরেরা। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বিগ্রহের গহনা সহ সিন্দুক ভেঙ্গে যাবতীয় সামগ্রী চুরি হয়। চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে কিছু অলংকার রাস্তায় পড়ে গেলে সেগুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার(১আগস্ট) গভীর রাতে চোরের দল হানা দেয় রাজধানী আগরতলার লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে। বৃহস্পতিবার(২আগস্ট) সকালে চুরির ঘটনা আঁচ করতে পারেন সবাই।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং, এসডিপিও সুমন মজুমদার সহ পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ।
তবে এলাকাটি পশ্চিম আগরতলা থানার অধীন হওয়ায় এই থানাতেই মামলা লিপিবদ্ধ হয়। চোরের দল উমামহেশ্বর মন্দির সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পাকা পাঁচিল টপকে মন্দিরের সীমানায় প্রবেশ করে তারপর বেশ কয়েকটি তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মূল মন্দিরে। মন্দিরের পুরোহিত জানান, বিগ্রহের গহনা যা ছিলো সবই চুরি হয়েছে। সোনার গহনা কতটুকু হবে সে সম্পর্কে কোনও হিসাব ও ধারণা না থাকায় স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে অন্তত কুড়ি ভরি সোনা বলে মনে করেন পুরোহিত। তাছাড়া বিগ্রহের রূপার মুকুট ও বাঁশিও চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েন পুরোহিত। এদিকে পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং জানান, কিছু অলংকার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত চোর পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐ অলংকারগুলি পড়ে যায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কি কি সামগ্রী চুরি হয়েছে তার হিসাব নিচ্ছে পুলিশ। চেষ্টা চলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুরিজাত সামগ্রী উদ্ধারের পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের।
লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকার এক মহিলা জানান, গতকাল রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি ঘরের দরজায় একটা শব্দ শুনেছিলেন। তারপর বের হয়ে আসলেও কাউকে দেখতে পাননি। ভেবেছিলেন তেমন কিছু নয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির সামনে ড্রেনের মধ্যে দেখতে পান কিছু অলংকার পড়ে রয়েছে। কেউ বলছে সেগুলি সোনার কেউ আবার বলছে সিটি গোল্ডের। ইতিমধ্যে মন্দিরে চুরির ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই রাস্তা ও ড্রেনের মধ্যে পাওয়া বিগ্রহের অলংকার তুলে নেওয়া হয়। পূর্ব আগরতলা থানার অদূরে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে মন্দিরের মতো সুরক্ষিত জায়গায় চোরের দল হানা দিয়ে নির্বিঘ্নে পার পেয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। তাছাড়া মন্দিরে এই চুরির ঘটনায় অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেকোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানেই ধর্মপ্রাণ মানুষ লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে যান। শহর আগরতলা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে আসেন। দাবি উঠেছে অবিলম্বে যেন পুলিশ দুষ্কৃতীদের আটক করে চুরিজাত সামগ্রী উদ্ধার করে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা আগস্ট ২০১৮ইং
রাজন্য আমলের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে এবার হানা দিলো চোরের দল। দুঃসাহসিক এই চুরি কাণ্ডের পর নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যায় চোরেরা। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বিগ্রহের গহনা সহ সিন্দুক ভেঙ্গে যাবতীয় সামগ্রী চুরি হয়। চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে কিছু অলংকার রাস্তায় পড়ে গেলে সেগুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার(১আগস্ট) গভীর রাতে চোরের দল হানা দেয় রাজধানী আগরতলার লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে। বৃহস্পতিবার(২আগস্ট) সকালে চুরির ঘটনা আঁচ করতে পারেন সবাই।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং, এসডিপিও সুমন মজুমদার সহ পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ।
তবে এলাকাটি পশ্চিম আগরতলা থানার অধীন হওয়ায় এই থানাতেই মামলা লিপিবদ্ধ হয়। চোরের দল উমামহেশ্বর মন্দির সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পাকা পাঁচিল টপকে মন্দিরের সীমানায় প্রবেশ করে তারপর বেশ কয়েকটি তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মূল মন্দিরে। মন্দিরের পুরোহিত জানান, বিগ্রহের গহনা যা ছিলো সবই চুরি হয়েছে। সোনার গহনা কতটুকু হবে সে সম্পর্কে কোনও হিসাব ও ধারণা না থাকায় স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে অন্তত কুড়ি ভরি সোনা বলে মনে করেন পুরোহিত। তাছাড়া বিগ্রহের রূপার মুকুট ও বাঁশিও চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েন পুরোহিত। এদিকে পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং জানান, কিছু অলংকার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত চোর পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐ অলংকারগুলি পড়ে যায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কি কি সামগ্রী চুরি হয়েছে তার হিসাব নিচ্ছে পুলিশ। চেষ্টা চলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুরিজাত সামগ্রী উদ্ধারের পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের।
লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকার এক মহিলা জানান, গতকাল রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি ঘরের দরজায় একটা শব্দ শুনেছিলেন। তারপর বের হয়ে আসলেও কাউকে দেখতে পাননি। ভেবেছিলেন তেমন কিছু নয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির সামনে ড্রেনের মধ্যে দেখতে পান কিছু অলংকার পড়ে রয়েছে। কেউ বলছে সেগুলি সোনার কেউ আবার বলছে সিটি গোল্ডের। ইতিমধ্যে মন্দিরে চুরির ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই রাস্তা ও ড্রেনের মধ্যে পাওয়া বিগ্রহের অলংকার তুলে নেওয়া হয়। পূর্ব আগরতলা থানার অদূরে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে মন্দিরের মতো সুরক্ষিত জায়গায় চোরের দল হানা দিয়ে নির্বিঘ্নে পার পেয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। তাছাড়া মন্দিরে এই চুরির ঘটনায় অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেকোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানেই ধর্মপ্রাণ মানুষ লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে যান। শহর আগরতলা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে আসেন। দাবি উঠেছে অবিলম্বে যেন পুলিশ দুষ্কৃতীদের আটক করে চুরিজাত সামগ্রী উদ্ধার করে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা আগস্ট ২০১৮ইং