তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
পেশায় তিনি একজন ঠেলা রিক্সা চালক।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ' মন কি বাত ' অনুষ্ঠানে সরাসরি এই ঠেলা চালকের প্রশংসা করেন।এই প্রথম রাজ্যের কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত ভাবে কাজের উদ্যোগের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
পেশায় তিনি একজন ঠেলা রিক্সা চালক।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ' মন কি বাত ' অনুষ্ঠানে সরাসরি এই ঠেলা চালকের প্রশংসা করেন।এই প্রথম রাজ্যের কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত ভাবে কাজের উদ্যোগের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
পেশায় গরিব একজন ঠেলা রিক্সা চালক হলে কি হবে - মন যে তার কতটা উদার এবং পরোপকারী তা দিল্লী থেকে বসে ' মন কি বাত ' অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের সাধুটিলার দাস পাড়ার বাসিন্দা গৌতম দাস। লক ডাউনের প্রথম তিনটি পর্বে অন্যান্য গরিব শ্রমিকদের মতোই তার হাতেও কাজ ছিলো না। কিন্তু তিনি ত্রাণ গ্রহণের লাইনে না দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করলেন তার মতোই গরিব দুঃস্থদের।নিজের এক চিলতে মাটির ঘর।ঘরের ছাউনি ভাঙা।যে কোনও মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টিতে এই ঘর ভেঙে পড়তে পারে।স্ত্রী গত হয়েছেন কয়েক বছর আগেই।একমাত্র ছেলের মুখের দিকে চেয়ে আশায় বেঁচে আছেন গৌতম।সারা দিনে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সামান্য কিছু রোজগার।তাও লক ডাউনের প্রায় দেড় মাস কোনও কাজ ছিলোনা। তখনই তার মতো অন্য গরিব দুঃস্থদের দুর্দশায় কেঁদে উঠে তার মন।আট হাজার টাকা খরচ করে সাধুটিলা দাসপাড়ার ১৬০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করলেন চাল ও ডাল।সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে রুমাল বেঁধে তিনি এই সামাজিক কাজ সম্পাদন করেন।গৌতমবাবু নিজেই বলেন,লক ডাউনের কঠিন পরিস্থিতিতে এলাকায় তার মতো গরিব মানুষদের জন্য কিছু করার তাগিদেই তিনি তা করেছিলেন।কিন্তু এর এক মাসের মধ্যেই যে প্রধানমন্ত্রীর মুখে তা শুনতে পাবেন সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি। লক ডাউনে প্রধানমন্ত্রী মানুষকে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।কিন্তু যার সাহায্য পাওয়ার কথা সেই সাহায্য প্রদান করে শুধু রাজ্যেই নয় গোটা দেশে নজির গড়লেন।তাইতো আজ প্রধানমন্ত্রীর মুখে সাধুটিলার গরিব রিক্সা চালক গৌতম দাসের কথা। কুর্ণিশ আপনাকে গৌতমবাবু ...
ছবিঃ সংগৃহীত
৩১শে মে ২০২০